Real inome by Online

Thursday, December 17, 2015

১ম ১০০ জন পাবে ১০০ ডলার, এছাড়াও আছে আরো দারুন গিফট

Car From Japan নামে একটি কোম্পানি আসন্ন ক্রিসমাস উপলক্ষে ঘোষনা করেছে এরকম লোভনীয় অফার। অবিশ্যেবাসও মনে হলেও সত্তিই, যে কেউ অংশ গ্রহণ করতে পারবে এই ক্যাম্পেইনে। এখানে গিফট হিসাবে পাবেন ১ম ১০০ জন ১০০ ডলার, ৫০ জন ৫০০ ডলার, র ২ জন গাড়ি।
তো দেরী কেন মাত্র ২ মিনিট সময় নষ্ট করে আপনার অংশগ্রহণ করে নিশ্চিত করুন। দেরি করলেই পিছিয়ে পরবেন, লটারি যেহেতু খালি একটা আইডি খুলে রাখুন, ভাগ্যে কি আছে দেখেন না যাচাই করে।
অংশগ্রহন করতে চাইলে  REGISTER NOWRegister Now করে APPLY NOW এর মাধ্যমে করবেন।
ধন্যবাদ।

Wednesday, November 18, 2015

ফ্রীলান্সিং; অনলাইন মার্কেট-প্লেস থেকে আয়।


    How can you Hack Facebook easy                     Easily Gmail and Yahoo hack

আজকে আমি আলোচনা করবো অনলাইনে আয়ের সঠিক পথটি নিয়ে। অনলাইনে আয়ের নানা রকম পথের সৃষ্ট হয়েছে। কিন্তু এর মাঝেও রয়েছে অনেক ভূয়া পথ। অনেকেই ভাবেতে পারেন ভূয়া পথ কোনগুলো। আমার মতে ভূয়া পথগুলো হচ্ছে যে পথে আপনার আয় হবে রাস্তায় বসে ভিক্ষা করার চেয়েও কম। অনেকেই অনেক টিউমেন্ট করতে পারেন। কিন্তু আপনি একটু ভেবে দেখুন তো, আপনি যদি পিটিসি, পিপিডি দ্বারা আয় করতে চান তবে আপনি মাসে কত আয় করতে পারবেন ? আশা করি আমার কথা বুঝতে পেরেছেন। আমি সবসময় আপনাদেরকে বলবো আপনার চিন্তা থাকতে হবে অনেক উচু মানের। আপনি কেন সারাদিনে ১০ সেন্ট আয় করার কথা চিন্তা করবেন ? আপনি চিন্তা করবেন দিনে কয়েক হাজার ডলার আয় করার, আপনি চিন্তা করবেন নিজে একজন সফল উদ্বোক্তা হতে। কিন্তু আপনাকে তো কাজ করে আয় করতে হবে। অনলাইনে তো কেউ আপনাকে এমনি এমনিই ডলার দিবে না। অনলাইন এমন একটি জায়গা যে এখানে আপনি ভিক্ষা করলেও কেউ আপনাকে এক ডলারও দিবে না। আপনাকে কাজ করে আয় করতে হবে। আপনি যদি কাজটাই না শিখেন তবে তো আপনার জন্য সেই পিটিসি বা পিপিডি। যেখানে সারাদিন পরিশ্রম করলেও আপনার মাসিক ইন্টারনেট বিলটুকুও উঠবে না।


                     Video for Facebook,Yahoo and Gmail hack

ব্লগিং করে আয় :

বর্তমানে অনেকের মাঝেই একটা চিন্তা ডুকে গেছে যে ব্লগিং করে আয় বা নিজের সাইট থেকে আয়। হ্যা, আপনি এই পথে সফল হতে পারবেন তবে আপনার বিফল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আপনি যদি একটি ব্লগ সাইট খুলে সারাদিন কপিপেস্ট করে থাকেন তবে আপনি বিফল হবে এটা ১০০ ভাগ নিশ্চিত। আপনাকে ব্লগিং করতে হবে আন্তর্জাতিক মানের। কিছু উদাহারণ দেখতে চাইলে আপনি ১ম শ্রেণির ইংরেজি ব্লগগুলো দেখতে পারেন। তাদের লেখার ভেতরে রয়েছে আপনাকে বুঝানোর অনেক ক্ষমতা। তারা কখনোও আপনাকে ভূল শেখাবে না বা রিফারেল করার জন্য কোন খারাপ সাইটকে ভালো বলবে না। আপনি যদি নিজেই কিছু না জানেন বা না পারেন তবে আপনি আরেকজনকে কি শিখাবেন একটু ভেবে দেখুন। আপনি তখনই সফল হবেন যখন আপনি নিজে কোন বিষয় ভালোভাবে জানবেন। আমি নিজে কোন সমস্যায় পড়লে সবার আগে ইংরেজি ব্লগ সাইটগুলো দেখি। কারণ তারা আমাকে ভূল তথ্য দিবে না।

আয়ের সঠিক পথগুলো :


বর্তমানে বিভিন্ন ব্লগ সাইটগুলোতে পিটিসি, পিপিডি সাইটগুলোকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণে নতুন অনেকেই ভূল পথে অযথা অনেক পরিশ্রম করছে। ভালো এবং সঠিক পথগুলো সম্পর্কে আপনি জানতে চাইলে মার্কেটপ্লেসগুলোর ক্যাটগরিগুলো দেখুন। তাদের কাজের প্রথম দিকের কয়েকটি বিষয় হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপ, ওয়েব অ্যাপস ডেভেলপ, গ্রাফিক্স ডিজাইন, পোগ্রামিং ইত্যাদি। আমি এখানে ডাটা এন্টিকে বাদ দিচ্ছি। কারণ মার্কেটপ্লেসগুলোতে ডাটা এন্টি কাজের উপরে অনেক বেশি বিড হয়। কারণ এ বিষয়ে কাজ করতে হলে পোগ্রামিং জ্ঞান লাগে না। আর এ ক্যাটগরিতে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম।

ইংরেজীতে দক্ষতা :

অনলাইন সফল হতে হলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজীতে অনেক দক্ষ হতে হবে। এখানে বাংলা ভাষায় কোন কাজ হবে না। কারণ সকল ক্লাইন্টই অন্য দেশের। আপনাকে এখানে ইংরেজীতে কথা বলতে হবে, তাদের সাথে আপনার ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে। আর ইংরেজীতে দক্ষ হতে হলে আপনাকে সবসময় এর প্রাক্টিজ করতে হবে। এখানে আপনি চিন্তাও করবেন ইংরেজীতে। সাধারণ কোন স্পোকেন ইংলিশ কোর্স করেই আপনি ইংরেজীতে দক্ষ হতে পারবেন না। আপনাকে প্রচুর অনুশীন করতে হবে। আর আপনি যদি ইংরেজীতে দক্ষ হোন তবে আপনি তাদের সাথে ভালো ভাবে কথা বলতে পারবেন, কাজগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন, কোন কিছু আপনি ভালো ভাবে শিখতে পারবেন। এক কথাই বলা যায় ইংরেজী হবে আপনার সফলতার চাবিকাঠি।

কোথা থেকে শিখবেন কাজ :

আপনি চাইলে নিজেই অনলাইন থেকে কাজ শিখতে পারবেন। আপনি ইউটিউব থেকে ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে অনেক ভালো বুঝতে পারবেন। আর এমন কোন বিষয় নেই যার উপরে ইউটিউবে কোন ভিডিও নেই। আপনি প্রথম শ্রেণির ইংরেজী ব্লগগুলো দেখতে পারেন। এখানে অনেক সুন্দর করে প্রতিটি বিষয় উপাস্থাপন করা থাকে। আর আপনি ওয়েব পোগ্রামিং যেমন: html, php, css, javascript এগুলো শেখার জন্য w3school ফলো করতে পারেন। w3school এর অফলাইন ভার্সন নিয়ে টেকটিউনসে আগে অনেকেই টিউন করেছেন। আপনি সার্চ করে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। আর এখানের সকল বিষয়ই ইংরেজীতে লেখা। ভালো কিছু শিখতে হলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজী শিখতে হবে।
প্রায় ২ বছর আগে আমি প্রথম পত্রিকায় আউটসোর্সিং দেখে তৎকালীন ওডেস্কে প্রচুর বিড করেছিলাম। যাকে স্প্যাম করাও বলা যেতে পারে। যখন আমি খেয়াল করে দেখলাম যে আমি কাজ পারি না অথচ অযথা বিড করেই যাচ্ছি, তখন আমি কাজ শেখার প্রতি নিজে মনযোগ দিই। এরপরে আর একবছর আমি কোন মার্কেটপ্লেসে না ঘুরে শুধু কাজ শেখায় মন দিয়েছিলাম। কারণ আমি জানি যদি বিড করার পর তারা আমাকে কাজ দেয় তবে আমি কি কাজ তাদের দেবো ? আমি তো কিছুই পারি না। কোন পত্রিকার এক পৃষ্ঠার লেখা দ্বারা আপনার কাজ শেখা হয় না। আপনাকে কাজ শিখার পরেও অনেক অনুশীলন করতে হবে। আপনি ইন্টারনেটে প্রচুর কাজের টেম্পলেট পাবেন। এখানের টেম্পলেটের সাথে আপনার করা কাজের মান তুলনা করুন। তাহলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি সেই কাজের যোগ্য কি না ?
আপনার যদি ইংরেজীতে কাজ শিখতে অসুবিধা হয় তবে আপনি বাংলাদেশি প্রথম শ্রেণির সাইটগুলো দেখুন। আপনি চাইলে ভালো প্রশিক্ষণ সেন্টার থেকেও কাজ শিখতে পারবেন। তবে সব ক্ষেত্রেই আপনাকে প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। আপনি দেশের কয়েকটি কাজ ফ্রিতে কারুন। এতে আপনি বুঝতে পারবেন এ ক্ষেত্রে কি কি সমস্যা হতে পারে বা এর সমাধান কিভাবে। যেমন আপনি যদি লগো ডিজাইন শিখুন তবে কয়েকজনের লগো ফ্রিতে বানিয়ে দিন। তাহলেই একদিকে যেমন আপনার অনুশীলন হবে তেমনি আপনি এ ক্ষেত্রে কি কি সমস্যা হয় তা বুঝতে পারবেন।
আপনি একটু ভেবে দেখুন, আপনি যদি কোন কাজে বিড করেন তবে সেই কাজে যদি আপনার চেয়ে দক্ষ একজন বিড করে তাহলে আপনার আর তার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু ? আপনাকে কাজ করতে হবে আন্তর্জাতিক মানের। কাজ নিয়ে আপনাকে অনুশীলন করা চলবে না। আপনাকে আগেই ভালোভাবে কাজ শিখে অনুশীলন করতে হবে।

যে বিষয়গুলো শিখতে হবে :

আপনি একজন ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে আপনাকে html, css, php, javascript, ajax, mysql এই বিষয়গুলো অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে। এগুলো একটা আরেকটার সাথে সম্পর্কিত। আপনাকে ফটোশপেও কিছুটা বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে। তাছাড়া আপনাকে জনপ্রিয় কিছু CMS এর সম্পর্কেও জানতে হবে। যেমন: WordPress এর থিম ডেভেলপ, Joomla এর টেম্পলেট, মেজেন্টো ইত্যাদি।
গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে চাইলে আপনাকে Photoshop, vactor design, 3D, Logo Design, Illustrator, ঘরবাড়ির ডিজাইনের জন্য Auto CAD 2D, 3D ইত্যাদি জানতে হবে। আপনি চাইলে একটি শুধু একটি বিষয়েও ভালো করতে পারেন। তবে স্কিল বাড়ানো একজন ডেভেলপারের আসল অস্ত্র।
পোগ্রামিং করার জন্য Java, C, C++, Ruby, Python, Visual Basic এগুলো হচ্ছে সবচেয়ে ভালো মানের। এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপের জন্য দরকার Java। জাবা দ্বারা আপনি পিসির জন্যও অনেক সুন্দর অ্যাপ্লিকেশন তৈরী করতে পারবেন। জাবা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। আর একটি পোগ্রামিং শিখলে আপনি আরকেটি পোগ্রামিং শিখতে অনেক কম সময়েই পারবেন।


আমি এখন Fiverr এ কাজ করছি মাত্র ২ মাস আগে থেকে। প্রথম দিকে অনেক চেষ্ঠা করেছি কাজ পাওয়ার জন্য মানে গিগ বিক্রি করার জন্য। সফল হতে আমার অনেকদিন সময় লাগে। এখন Fiverr এ আমার আশানুরূপভাবে কাজ পাচ্ছি।

Saturday, November 14, 2015

অনলাইনে যে সাত ধরনের লোক আপনার ক্যারিয়ারের জন্য হুমকি সরূপ

আনলাইন আয়, ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং ইত্যাদি শব্দগুলো সাধারন মানুষের কাছে খুব জনপ্রিয় । কেউ পেশা হিসেবে নেয়ার আশায় আবার কউ নিজের চাকুরী, পড়াশুনা, ব্যবসা ইত্যাদির পাশাপাশি বাড়তি কিছু আয় এর উৎস তৈরি করার জন্যই  অনেক  সপ্ন নিয়ে এই সেক্টরে আসে । বেশিরভাগক্ষেত্রেই বিভিন্নভাবে ঠকে  টাকা পয়সা খরচ করে তারপর বুঝতে পারে যে সঠিক পথ  আসলে কোনটি । মানুষের প্রথম পর্যায়ের এই না জানার দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে একদল বিপথগামী  মানুষ নিজেদের স্বার্থ হাসিল  করে । এই ধরনের মানুষগুলো আপনার ক্যারিয়ারের জন্য হুমকি সরূপ । এই ধরনের মানুষগুলো আপনার সময়, অর্থ সবকিছুই নষ্ট করবে । এমনকি আপনার চলার পথেও বাধা সৃষ্টি করবে ।
১. যারা আপনাকে রাতারাতি লাক্ষ লাক্ষ টাকা উপার্জনের সপ্ন দেখাবে । আপনি  যদি কার কাছ থেকে টাকা উপার্যন করতে চান অবশ্যই মনে রাখবেন তাকে এর চেয়ে ডবল উপার্জনের সেবা দিতে  হবে । বাস্তব জীবনে লাক্ষ লাক্ষ টাকা  কামানো যত কঠিন ,  অনলাইনে তার চেয়েও বেশি কঠিন ।এর কারন  হচ্ছে এখানে আপনাকে প্রতিযোগীতা করতে হবে সারা বিশ্বের সাথে ।
২. যারা আপনাকে রাতারাতি কাজ শিখিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিবে । যেকোন কাজ শেখাটা অনেক সহজ কিন্তু সেই কাজে প্রফেশনাল হওয়া এত সহজ না । যেমন - আপনাকে আমি এক ঘন্টায় ওয়েবসাইট তৈরি করা শেখাতে পারি । কিন্তু এই বিষয়ে প্রফেশনাল হতে গেলে আপনাকে কমপক্ষে দুই বছর শিখতে হবে ।
৩. যারা নেতিবাচক  মানসিকতার ।  যেমন - সারাদিন বলতে  থাকে  এই কাজটা সম্ভব না , এইটা ভাল  না , ওইটা ভাল  না , ঐ লোকের এই সমস্যা  ।  এরকম নেতিবাচক মানুষিকতার লোক আপনাকে  কোনদিন সফল হতে  দেবে না । এরা সবসময় আপনার কাজের মনোবলকে কমিয়ে দিবে । ব্যক্তিগত জীবনেও এই ধরনের মানুষ থেকে দূরে থাকবেন । এরা খুটে খুটে  সব বিষয়ের খারাপ  দিকটাই বের করবে ভাল দিক গুলি এড়িয়ে যাবে  ।
৪. অকৃতজ্ঞ লোক । যারা উপকার  করার পরও আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে ভুলে যায় । আবার প্রয়োজনের সময় ঠিকই হুজুর হুজুর করবে  । এই ধরনের লোক  এক সময় আপনার জন্য বিপদজনক হয়ে উঠবে । কারও ধন্যবাদ পাওয়ার আশায়  কেউ উপকার করে না,  কিন্তু যার এই সামান্য সৌজন্যবোধটুকু নেই , কোন কারনে  যদি  আপনি তার উপকার করতে না পারেন অথবা তার স্বার্থ শেষ হয়ে যায়  নিশ্চিত সে আপনার সম্বন্ধে উল্টা পাল্টা বলবে ।
৫.যারা নিজেরাই নিজেদের এক্সপার্ট বলে পরিচয় দেয় ।  সত্যিকারের এক্সপার্টরা কখনও নিজেদের এই বিষয়ে এক্সপার্ট  ঐ বিষয়ে এক্সপার্ট ইত্যাদি বলে বেড়ায়  না । যারা অতি উৎসাহী হয়ে নিজেদের এক্সপার্ট বলে দাবী করে মনে রাখবেন তাদের মধ্যে সমস্যা আছে । বাংলাদেশে অনেক বড় বড় এক্সপার্ট আছে যাদের আপনি  চিনেনও  না ।  যারা দিনে একবারও ফেসবুকে  আসার সময় পায় না । তারা  নীরবে তাদের কাজ করে যাচ্ছে ।
৬. যারা আপনাকে যা পাওয়ার কথা তার থেকে  অনেক বেশি দিতে চাইবে । এই বিষয়টা ভাল বুঝবেন হোস্টিং কোম্পানীর বিভিন্ন রকম অফার দেখলে । যেই সার্ভিসটা আপনার তিন হাজার টাকায় পাওয়ার কথা  সেই সার্ভিসটা একহাজার টাকায়ও অফার  করে । তার মানে হচ্ছে এখানে অন্য কোন বিষয় আছে ।দেখবেন যে পরে এমন বিপদে পড়ছেন যে এর তিনগুন  টাকাও দিতে হবে কষ্ট করবেন ফাউ । এইটা সব ক্ষেত্রেই সত্যি ।
৭.অস্থির টাইপের লোক ।  এরা যেকোন কাজে অতিরিক্ত  উৎসাহ দেখাবে , বাস্তবতা না বুঝেই দুনিয়া উ্ল্টাইয়া ফেলবে । আবার দুইদিন পরেই  সব শেষ। যারা যুক্তি দিয়ে বিচার বিবেচনা না করে, বাস্তবতা না বুঝে যেকোন কাজে বেশি  উৎসাহ দেখায়, দুদিন পর তারাই আবার বিভিন্ন রকম নেতিবাচক কথা বলা শুরু করে ।
sciencetehchbd Click here for real income money by online

৮টি ওয়েবসাইট যা ফ্রীল্যান্সারদের অত্যাবশ্যকীয় দরকার

সফলভাবে ফ্রীল্যান্সিং করার জন্য ফ্রীল্যান্সারদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং সঠিক গাইডলাইনের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও ফ্রীল্যান্সাররা অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়। আর এ সকল সমস্যার সমাধান এবং ফ্রীল্যান্সারদের সকল ধরনের প্রয়োজন মেটানোর উপযোগী ৮টি ওয়েবসাইটের সাথে আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব।

1. FREELANCE FOLDER

ফ্রীল্যান্সার এবং উদ্যোক্তাদের সহায়তা করার জন্য Freelance Folder দারুন ভূমিকা রেখে চলেছে। আপনি ব্লগার, ফীল্যান্সার, লেখক, পাঠক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী … যাই হোন না কেন Freelance Folder দারুনভাবে আপনার কাজে লাগতে পারে।

2. ALL ABOUT FREELANCE

নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে এখানে কি আছে। All About Freelance এ ফ্রীল্যান্স সম্পর্কিত সব ধরনের ধরনের তথ্য রয়েছে। নতুন ও পুরাতন সকল ধরনের ফ্রীল্যান্সারদের জন্য দারুন সব তথ্যে ভরপুর এই সাইট

3. FREELANCE SWITCH

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ফ্রীল্যান্সারদের কম্যুনিটি হল Freelance Switch। দক্ষ – অদক্ষ সব ধরনের ফ্রীল্যান্সারদের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগীতা দেয়া হয় এখানে। ফ্রীল্যান্স সম্পর্কিত আপনার সমস্যার সমাধানে এটি ভাল ভূমিকা রাখতে পারে।

4. GUERRILLA FREELANCING

ভাল ফ্রীল্যান্সার হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ? সফলতার জন্য এখান থেকে যথেস্ট সাহায্য পেতে পারেন।

5. WAKE UP LATER

ওয়েব সাইট তৈরি, ব্লগিং, ফ্রীল্যান্সিং ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই সাইটটি। প্রোগ্রামিং, এস.ই.ও এবং ইন্টারনেট মার্কেটিং সম্পর্কিত বিষয়ও এখানে স্থান পেয়েছে।

6. ALL FREELANCE DIRECTORY

ফ্রীল্যান্সার এবং ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের জন্য নানা রকম টিপস এবং তথ্য রয়েছে এখানে।

7. FREELANCE VENUE

ফ্রীল্যান্সারদের জন্য নেটওয়ার্ক প্ল্রেস হল Freelance Venue। এখানে ফোরাম এ অংশগ্রহন করে ফ্রীল্যান্সারদের সাথে যোগাযোগ গড়ে তোলা যাবে।

8. PRO FREELANCING

পেশাদার ফ্রীল্যান্সার হওয়ার কাজে সহায়তা পেতে পারেন এখান থেকে। শেখার মত দারুন কিছু রিসোর্স রয়েছে এখানে।

islamicmasalas

ফ্রিল্যান্সিং কি আসলেই খুব সহজ কেন, কেন নয় ? আসুন জেনে নেই

বর্তমান সময়ে তরুনদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগানো একটি পেশা ফ্রিল্যান্সিং। প্রতিদিন শত শত তরুন বুক
ভরা সপ্ন নিয়ে, প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আশায় ভীড় জমাচ্ছেন এ সেক্টরটিতে। লোভনীয় বিজ্ঞাপন আর আকর্ষণীয় সব
অফারের ফাঁদে পড়ে হাজার হাজার টাকা নষ্ট করে অবশেষে হতাশ হচ্ছেন।
ফ্রিল্যান্সিং কি আসলে খুবই সহজ নাকি কঠিন কিছু। আজ আমার টিউনের মাধম্যে এ প্রশ্নেরই উত্তর দিব। এই
সেক্টরটি সম্পর্কে পুরোপুরি ধারনা না থাকার কারনেই প্রথমে যখন শুরু করছে তখন মনে হয় অনেক সহজেই
প্রতিষ্ঠিত হওয়া যাবে।আবার কিছুদিন
পর বাস্তবতা দেখে বেশিরভাগ মানুষিই
হতাশ হচ্ছে। আমার এই
লেখাটি ফ্রিল্যান্সিং সম্বন্ধে একটি
পুরোপুরি দিকনিদের্শনাও
বলতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং কেন সহজ ?
ফ্রিল্যান্সিং জনপ্রিয়তা পাওয়ার
একটি মূল কারন হচ্ছে ঘরে বসে আয়
করা যায়। আপনি ঘরে বসে পৃথিবীর
যেকোন জায়গার কাজ করতে পারবেন।
আপনার প্রয়োজন নেই কোন অফিস।
একটি কম্পিউটার আর ইন্টারনেট
সংযোগ থাকলেই খুব সহজেই ঘরে বসেই
ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।
আর একটি কারন
হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করতে আপনার
কোন মামা-চাচার সুপারিশ প্রয়োজন
হবে না।আপনার যোগ্যতাই সবচেয়ে বড়
ব্যপার।আপনি যদি নিজের
যোগ্যতা প্রমান করতে পারেন তবে আর
কিছুর দরকার নেই।কাজ পাবেন আপনার
যোগ্যতার ভিত্তিতে কোন সুপারিশ
বা ঘুষের বিনিময়ে নয়।
ফ্রিল্যান্সিং এর
মাধ্যমে আপনি অনেক বেশি আয়
করতে পারবেন।একজন সফল
ফ্রিল্যান্সারের জন্য
মাসে কয়েকলাক্ষ টাকা উপার্জন
করা কোন ব্যাপারই না। আপনিত আর
টাকা উপার্জন করবেন না, উপার্জন
করবেন ডলার। এমন অনেক ফ্রিল্যান্সার
আছে যারা ঘন্টায় ২০০-২৫০ ডলার
উপার্জন করে। এবার একটা ক্যালকুলেটর
নিন, মোবাইল হলেও চলবে। মনে করেন
দিনে ৮ ঘন্টা কাজ করলে ১ ডলার সমান
যদি ৮০ টাকা হয় মাসে কত
টাকা ইনকাম করতে পারবেন। দ্রুত এই
সহজ হিসাবটা করে ফেলুন।
ফ্রিল্যান্সিং এ কাজের কোন অভাব
নেই। মার্কেট প্লেসে দেখবেন
মিনিটে শত শত কাজ টিউন হচ্ছে।
প্রতিদিনই নতুন নতুন ক্ষেত্র
তৈরি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এর। এর
কাজের পরিধিও বাড়ছে।
বাংলাদেশের অনেকই
আছে যারা কাজের কিছু না জেনেই
কাজে এপ্লাই করে, কাজ যখন পায় তখন
ফেসবুকে টিউন দেয়, ভাই
কাজটা কিভাবে করব? চিন্তা করেন
অবস্থা। শুধু কাজ আর কাজ।
ফ্রিল্যান্সিং এ নির্দিষ্ট কোন অফিস
টাইম নাই। প্রতিদিন সকাল
৮টা থেকে রাত ৮টা অফিস
করতে হবে এমন কোন ধরাবাধা নিয়ম
নেই।আপনার যখন খুশি যেমন
করে খুশি কাজ করবেন।
ভাবুনত এমন একটি পেশা,
আপনি যেখানে খুশি যেমন খুশি তেমন
ভাবে কাজ করছেন। অনেক অনেক
টাকা ইনকাম করছেন। পরিবারের
সাথে সময় দিতে পারছেন।
যেখানে খুশি বেড়াতে যেতে পারছেন।
যা খুশি করতে পারছেন। আর এইসব
কারনেই ফ্রিল্যান্সিং এত জনপ্রিয়।
এবার আসুন বাস্তবতায়,
ফ্রিল্যান্সিং কেন সহজ নয়:
আমি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে অনেক ব্লগ
টিউন পড়েছি। নানা ধরনের আদেশ,
উপদেশ, নির্দেশনা দেখেছি।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই
একতরফাভাবে মানুষকে মিথ্যে
প্রলোভন দেখিয়ে শুধু পজেটিভ
দিকগুলো উপাস্থাপন
করে মানুষকে ঠকানো হয়।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হতে চান
প্রথমেই আপনাকে মাথায়
রাখতে হবে আপনাকে আন্তর্জাতিক
ভাবে প্রতিযোগিতা করতে হবে।
ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলি, ধরুন একটা পন্য
আপনি বাংলাদেশের
বাজারে বিক্রি করবেন আর একটা পন্য
আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করবেন।
দুটো প্রডাক্ট কি রকম হবে?
বাংলাদেশে যে কোন প্রডাক্টের
সাধারন একটি মান থাকলেই
বিক্রি করা সম্ভব। কিন্তু আন্তর্জাতিক
মানের হতে হলে আপনার পন্যে মান
আরও অনেক বেশি উন্নত হতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং এ আপনার যোগ্যতাই
হচ্ছে আপনার প্রডাক্ট।যেহেতু
আপনি একজন আন্তর্জাতিক মানের
পেশাদার কর্মী হতে চাচ্ছেন সেহেতু
আপনার যোগ্যতা এবং দক্ষতাকে সেই
রকম করে গড়ে তুলতে হবে।
আর একটি বিষয় হচ্ছে এ
সেক্টরটিতে যেমনি কাজ এর পরিমান
বাড়ছে,
তেমনি দিনে দিনে প্রতিযোগিতাও
বেড়ে চলছে। আপনি যে বিষয়
বেছে নেন না কেন, দেখবেন আপনার
চেয়েও অনেক দক্ষ লোক আগে থেকেই
আছে।
আপনারা প্রতিযোগী হবে আপানার
চেয়েও অনেক বেশি দক্ষ এবং অভিজ্ঞ্
। তাদের সাথে প্রতিযোগীতা করেই
আপনাকে নিজেকে প্রমান করতে হবে।
আপনার কাজের ব্যাপারে অনেক
বেশি প্রফেশনাল হতে হবে। সময় মত
কাজ জমা দেয়া, বায়ারের
চাহিদা মত কাজ
দেয়া ইত্যাদি বিষয়কে খুব
ভালভাবে মেনন্টেইন করতে হবে।
আমার কাছে যখন কেউ
ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে পরামর্শ
চাইতে আসে তখন আমি বলি,
”এখানে এক হাজার জনের মধ্যে একজন
সফল হয় বাকি ৯৯৯ জন্য মাঝপথে হতাশ
হয়ে ছেড়ে দেয়।এখানে ঝড়ে পড়ার
হার অনেক বেশি।
আপনার অনেক বেশি ধৈর্য
থাকতে হবে। কতটা ধৈর্যশীল
হতে হবে তা বলে বুঝান যাবে না।
আপনি দিনের পর দিন চেষ্টা করবেন
কাজ পাবেন না, কাজ পাবেনত
টাকা পাবেন না, টাকা পাবেনত
উঠাতে গিয়ে ব্যাংক হাজার রকম
ঝামেলা করবে, বায়ার কাজ
নিয়ে ঝামেলা করবে, ছোট্ট
একটা ভুলের জন্য সারারাত নষ্ট
হবে ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে আপনাকে
অপরিসীম ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং এ কোন শর্টকাট
ওয়ে নাই। আপনি যতই শর্টকাট
ওয়ে ফলো করতে যাবেন ততই
ধরা খাবেন।যেকোন কাজ
ভালভাবে শিখতে আপনাকে অনেক
সময় দিতে হবে। আপনি যদি কয়েকবছর
সময় না দিতে পারেন তবে এই
সেক্টরে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কঠিন
হয়ে যাবেব।আমার একটি ফেসবুক
স্ট্যাটাস:
>>>> ২০,০০০ টাকা -৩০,০০০ টাকা চাকুরীর
জন্য আমরা ২০ -২৫ বছর পড়াশুনা করি। আর
ফ্রিল্যান্সিং এ লাক্ষ লাক্ষ
টাকা কামানোর সপ্ন দেখি অথচ কষ্ট
করে দুই – তিন বছর কাজ
শিখতে পারি না >>>>>
এ সেক্টরে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন
সমস্যার সম্মুখীন হবেন, তাই
আপনাকে নিজে নিজে সমস্যা
সমাধানের যোগ্যতা থাকতে হবে।
কারন বাস্তবতা হচ্ছে বেশিরভাগ সময়ই
দেখবেন প্রয়োজনের সময়
আশেপাশে কাউকে খুজে পাবেন না।
এই সেক্টরে কাজ
করতে হলে আপনাকে প্রতিনিয়তই
আপডেট থাকতে হবে।আপনি যে কাজই
শিখেন না কেন দেখবেন প্রতিদিনই
আপনার শেখার বিষয়ের নতুন নতুন
আপডেট হচ্ছে। তাই বিশ্বের
সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চাইলে,
আপনাকে অবশ্যই আপডেট রাখতে হবে।
আপনি ফ্রিল্যান্সি এর
যে বিষয়ে কাজ করেন না কেন
আপনাকে মার্কেটিং দক্ষ হতে হবে।
আপনাকে নিজেকে উপস্থাপন
করতে জানতে হবে।
কিভাবে কাভারলেটার লিখবেন,
কিভাবে আপনার বায়ারকে আপনার
প্রতি আগ্রহী করবেন, কিভাবে তার
সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলবেন
ইত্যাদি বিষয়ে আপনাকে দক্ষ
হতে হবে।
তাহলে কি ফ্রিল্যান্সিং খুব কঠিন কিছু,
না সেরকম কিছু না। যদি আপনার ধৈর্য্য,
মেধা আর পরিশ্রম করার দৃঢ়
মানসিকতা তাকে তবেই আপনি এ
জগতে টিকে থাকতে পারবেন।
মনকে স্থির করুন। প্রতিজ্ঞা করুন এ
সেক্টরে আপনি প্রতিষ্ঠিত হয়েই
ছাড়বেন। পরিকল্পনা করুন। আর প্রতিদিন
একটু একটু করে হলেও
নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যান। ইনশাল্লাহ
একদিন সফল হবেনই।
মানুষকে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে সচেতন
করে তোলার জন্য, বাস্তব
অবস্থা তুলে ধরার জন্য আসুন আমরা এই
টিউনটি শেয়ার করি। আপনার এই
সামান্য কাজ অনেকের
জীবনধারাকে বদলে দিতে পারে। অনেক
ধোকাবাজী থেকে রক্ষা করতে পারে।
আজকের দিনে এই একটা ভাল কাজ হলেও
করার অনুরোধ করছি।
mohilangon

জানতে চান লেখক হওয়ার মূলমন্ত্র ?

লেখালেখিটা এক ধরণের আর্ট। এটাকে শিখতে হয়। বেশি বেশি পড়তে হয়। জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ এর বিভিন্ন বই থেকে জানা যায় যে, তিনি বেশ পড়তেন। সব ভালো ভালো লেখকেরা ভালো লেখক কেন জানেন? কারণ, ওনারা বেশি বেশি পড়েন। লেখক হতে হলে, আগে হতে হবে পাঠক। তারপর নিজস্ব ভাব লেখার মাধ্যমে গুছিয়ে উপস্থাপন এর মাধ্যমে হয়ে উঠতে পারবেন একজন লেখক।
কিছুদিন পূর্বে, লেখালেখির উপর দুটি লেখা লিখেছিলাম...
  1. জেনে নিন কিভাবে চটপট লিখে ফেলবেন একটি চমৎকার আর্টিকেল।
  2. আর্টিকেল লিখার দক্ষতা অর্জনে ১৫ টি ক্ষেত্র যেগুলোতে দক্ষ হলে হবেন দক্ষ আর্টিকেল রাইটার
তো, ভেবেছিলাম দ্বিতীয় লেখাটিতে যে ১৫ টি ক্ষেত্র তুলে ধরেছিলাম, সেগুলো নিয়ে পরবর্তী(মানে এই টিউন) টিউন থেকে আলোচনা শুরু করবো। কিন্তু টিউন লেখা শুরু করার সময় ভাবলাম, সেগুলো আলোচনার পূর্বে আরও কিছু ব্যাপার রয়েছে, যেগুলো আগে তুলে ধরা দরকার। ইনশাল্লাহ, পরবর্তীতে ১৫ টি ফ্যাক্টর তুলে ধরবো। আর হ্যাঁ, আমিও এই ক্লাসের একজন ছাত্র। লিখছি প্লাস লিখতে গিয়ে শিখছি অনেককিছু।
যাইহোক, লেখালেখিটা শিখতে গেলে পড়তে হয় প্রচুর। ইন্টারনেট ঘাঁটলে লেখালেখির উপর হরেক রকমের লেখা পাবেন। সেগুলো পড়লেও শিখতে পারবেন লেখালেখির অনেককিছু। তাছাড়া, যে বিষয়ে লিখবেন সে বিষয়ের উপরও আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আর এক্ষেত্রেও আপনাকে পড়তে হবে। মোটকথা, ভালোমানের লেখক হবার জন্য পড়ার কোন বিকল্প নেই।
লেখালেখি শেখার ক্ষেত্রে নিম্মল্লেখিত ব্লগগুলো নিয়মিত পড়তে পারেন...They are really awesome!
  • http://writetodone.com/
  • http://www.copyblogger.com/seo-copywriting/
  • http://goinswriter.com/
  • http://positivewriter.com
  • http://www.writingforward.com/
উপরে উল্লেখিত ব্লগগুলোতে লেখালেখির উপর নানা ধরণের টিপ সম্বলিত নিয়মিত লেখা পাবেন যেগুলো পড়তে পড়তে এবং যদি প্র্যাকটিস সেশন থাকে তবে প্র্যাকটিস করতে করতে এক সময় দেখবেন, আপনি লেখালেখির উপর বেশ দক্ষতা অর্জন করে ফেলেছেন। আর আপনার আমার সবার মামা... গুগোল মামা তো রয়েছেনই। লিখতে গিয়ে যেসব ফ্যাক্টর আপানার সামনে আসছে কিন্তু আপনি থিক বুজতে পারছেন না... দুশ্চিন্তা না করে ঝটপট গুগোলকে জিজ্ঞাসা করে ফেলুন।
আরেকটি ব্যাপার আপনাকে পড়তে পড়তেই ঠিক করে নিতে হবে। অর্থাৎ আপনি পড়তে পড়তেই ওই ব্যাপারটার অনেকাংশই ঠিক করে নিতে পারবেন। আর সেটা হল আপনার ভাষাগত দক্ষতা। আপনি যখন কোন লিখা পরবেন, তখন সে লেখার নতুন নতুন শব্দগুলো আয়ত্তে আনতে পারলে, আপনি নতুন কিছু শব্দের অর্থ শিখলেন। আর, লেখকের গ্রামার যদি লক্ষ করেন, তবে গ্রামার এর কিছু প্রয়োগ ও শিখতে পারবেন। তবে, গ্রামারা না হোক, অন্তত নতুন শব্দ আসলে, তার অর্থ বের করে শিখে ফেলুন। কেননা, যত বেশি শিখে নিবেন শব্দ, তত বেশি ওই ভাষাকে করতে পারবেন জব্দ!!!
আপনি যখন পড়বেন, তখন পাশে একটি খাতা ও কলম রাখবেন। যখনি নতুন কোন শব্দ পাচ্ছেন, যার অর্থ আপনি জানেন না, সেটি খাতায় লিখে ফেলুন। আর, বর্তমানে তো মোটামুটি সবাই এনড্রয়েড সেট ব্যবহার করেন। তো আপনি যদি করে থাকেন, আপনার এনড্রয়েড সেট এ একটি ডিকশনারি এপ্স ইন্সটল করে নিন। ফলে, নতুন শব্দ পাওয়ার সাথে সাথে সেটার অর্থ আপনি চটপট বের করে ফেলতে পারবেন। আর অর্থ টা বের করেই খাতায় লিখে ফেলুন এবং আপনি যে বাক্যটি আপনার স্ক্রিনে পড়ছেন, সেটির এই নতুন শব্দটির অর্থ জানার পর আবার মিলিয়ে পড়ুন। এভাবে ধিরে ধিরে এগুতে থাকুন। সপ্তাহে একবার খাতায় যেসব নতুন শব্দ এর লিস্ট থাকবে সব গুলো রিভিশন দিন। মাস শেষে দিন পুরো মাসে পড়ার ফলে যেসব নতুন নতুন শব্দ আসছে সেগুলোর রিভিশন। মনে রাখবেন, ধিরে ধিরে এভাবে আপনি এগুতে থাকলে, একদিকে আপনি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর জ্ঞান অর্জন করছেন। অন্যদিকে, কোন ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন করছেন।
আসলে, লিখতে গেলে জানতে হয় প্রচুর। আর এই ক্ষেত্রে জানার সবচেয়ে উত্তম উপায় হল পড়া। তাই, লেখক হতে হলে আপনাকে পড়তে হবে প্রচুর। আবার অন্যদিকে, প্রচুর জানা থাকলেও যদি ভাষাগত দক্ষতা না থাকে, তবে কোন মানুষই সে ভাষায় নিজস্ব চিন্তাধারা, ভাব ইত্যাদি সুন্দর করে প্রকাশ করতে পারেন না। তাই, ভাষাগত দক্ষতা ও অর্জন করতে হবে। আর এই ক্ষেত্রে, শুধু গ্রামার শিখাই গুরুত্তপূর্ণ নয়, শব্দ ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করাও অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তো চালিয়ে যান... আর হয়ে উঠুন একজন দক্ষ পাঠক। কেননা, লেখক হবার আগে আপনাকে একজন ভালো মানের পাঠক হতে হবে যে...!

নবীন ব্লগারদের সফলতা অর্জনের কার্যকারী টিপস

আপনি কি ব্লগিং শুরু করার কথা ভাবছেন? আপনাকে স্বাগতম! তবে হটাত করে ভেবে বসলেন আর ব্লগিং শুরু করলেন। তাহলে আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার খুব শীঘ্রই ১০০% হতাশায় পৌঁছাবে। তাই শুধু ব্লগিং না জীবনের প্রত্যেক সিদ্ধান্তে সবদিক বিবেচনা করুণ, সফলতা আসবেই।
ব্লগ
অনেকেই এখনও ব্লগিং শুরু করেন নি। কিন্তু ব্লগিং শুরু করার পরিকল্পনা এবং স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। তাদের পরিকল্পনায় সফলতা এনে দিতে হয়ত কিছুটা হলেও এই টিউন কাজে আসবে আশা রাখছি। আর সেই আশা থেকেই আজ লিখছি নতুন কিংবা হবু ব্লগারদের জন্য প্রাথমিক কিছু টিপস।১. ব্লগ সম্পর্কে জানুনঃ ব্লগ শুরু করবেন আর ব্লগ সম্পর্কে জানবেন না তা তো কিছুতেই হতে পারেনা। তাই আপনার ব্লগিং জীবনের শুরুর প্রথম ধাপ হল ভালোভাবে ব্লগিং সম্পর্কে জেনে নিন। ব্লগ কি?, ব্লগিং করে লাভ কি?, ব্লগিং করে কি আয় হয়?, ব্লগিং কিভাবে করে?, ব্লগিং করতে কি কি গুণ থাকতে হয়? ব্লগিং এর প্রকারভেদ কি কি? এই আর কি সবধরণের প্রাথমিক প্রশ্নের উত্তর জানুন। আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল যে, “আপনি কতদিন বা কত বছর যাবত ব্লগ পড়ছেন?” বেশি বেশি বই পড়লে যেমন লেখক হওয়া যায় ঠিক ব্লগিং শুরু করতে আপনার প্রয়োজন হবে দীর্ঘ সময়ব্যাপী ব্লগ পড়ার সম্পৃক্ততা।
ব্লগ সম্পর্কে জানুন

২. সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনাঃ
 আপনি অনেকদিন ধরে ব্লগ পড়ছেন। এবার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন আপনি ব্লগ লিখবেন। তাহলে ব্লগিং জগতে আপনাকে স্বাগতম ! এবার একটি দক্ষ পরিকল্পনা করে ফেলুন। একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খুলতে যেমন অনেক পরিকল্পনা করতে হয় ঠিক তেমন পরিকল্পনা। পরিকল্পনার বিষয়গুলো হবেঃ কি বিষয়ে ব্লগিং করবেন, আপনি কি নিজের ব্লগ সাইটে ব্লগিং করবেন?, আপনি কি আয়ের জন্য ব্লগিং করবেন নাকি শখ মেটাতে? এবং শুরু করতে আরও ইত্যাদি ইত্যাদি যেসব বিষয় ভাবতে হয় সেগুলো দক্ষতার সাথে ভাবুন। তবে সবচেয়ে জোর দিন আপনি কিসের উপর ব্লগিং লিখতে চাচ্ছেন? এই প্রশ্নের সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য উত্তর হল, “আপনি যে বিষয়ে ভালো জানেন শুধু সেই বিষয়েই ব্লগিং লিখবেন।” অন্য কোন অজানা টপিকে ভুলেও হাত দিবেন না।
সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনা

৩. প্লাটফর্ম নির্বাচনঃ
 ইতিমধ্যেই ২ নম্বর ধাপে আপনাকেদেরকে একটি প্রশ্ন করেছি। আপনি কি নিজের ব্লগ সাইটে ব্লগ লিখবেন নাকি অন্য প্রতিষ্ঠিত মাল্টি ব্লগিং সাইটে ব্লগ লিখবেন? আমি মূলত লিখছি আজকের টিউন নিজের ব্লগ সাইটে ব্লগিং নিয়ে। ধরে নিলাম আপনি নিজেই ব্লগ সাইট খুলে ব্লগিং করবেন। তারপর আপনাকে নির্বাচন করতে হবে আপনি কোন ব্লগিং প্লাটফর্ম -এ লিখবেন। বিশ্বের অন্যতম সেরা দু’টি ব্লগিং প্লাটফর্ম হল ওয়ার্ডপ্রেস এবং ব্লগস্পট। তবে আপনাকে প্রথমত ব্লগস্পট ব্যবহারের পরামর্শ দিব। ওয়ার্ডপ্রেস বিশ্বের এক নম্বর ব্লগিং প্লাটফর্ম তাতে কারোই সন্দেহ নেই। কিন্তু মনে রাখতে হবে ওয়ার্ডপ্রেস যেহেতু বড় প্লাটফর্ম তাই এতে ব্লগিং করতে হলে আপনার জ্ঞানও থাকতে হবে বড়। কিন্তু আপনি যেহেতু একেবারেই নবীন একজন ব্লগার তাই আপনার জন্য ব্লগস্পট সবচেয়ে কার্যকারী প্লাটফর্ম। অভিজ্ঞ হওয়ার পর আপনি ওয়ার্ডপ্রেসে হাত দিতে পারবেন সহজেই। তাই ছোট প্লাটফর্ম দিয়েই শুরু করুন। কারণ আগে স্বরবর্ণ শিখেই ব্যঞ্জনবর্ণতে হাত দিতে হয়।
ব্লগিং প্লাটফর্ম
৪. ডোমেইনঃ ব্লগস্পট একটি ফ্রি ব্লগিং প্লাটফর্ম। এতে ডোমেইন/হোস্টিং পুরো ফ্রি। কিন্তু ডোমেইনটি আপনাকে দেওয়া হয় সাধারণত সাবডোমেইন। তবে ব্লগস্পট আপনাকে আপনার নিজস্ব কেনা ডোমেইন ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে থাকে। আপনি যদি আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়ে থাকেন তবে একটি টপ লেভেল ডোমেইন (যেমনঃ ডট কম, ডট নেট, ডট অরগ, ডট ইনফো ইত্যাদি) কিনে নিতে পারেন। একটি ডোমেইন আপনি ৮০০-১০০০ টাকার মধ্যেই কিনতে পারবেন। আর যদি আপনি ডোমেইন কিনতে সমর্থ না হন তবে মন খারাপ করার কিছুই নেই পরবর্তীতে কিনে নিবেন। আমিও আর্থিক সমস্যার কারণে ব্লগ শুরুর ৬ মাস পর ডোমেইন কিনেছিলাম।
ডোমেইন
৫. ব্লগ ডিজাইনঃ ব্লগস্পটে ব্লগ ডিজাইন খুবই সহজ বলতে গেলে। ব্লগস্পটের ডিফল্ট টেমপ্লেট কাস্টমাইজ করা নতুনরা অল্পতেই শিখতে পারবেন। কিন্তু এক্সটারনাল টেমপ্লেট ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে এইচটিএমএল, সিএসএস এবং অন্যান্য কিছু ল্যাঙ্গুয়েজ জানতে হবে কাস্টমাইজ করার জন্য। ব্লগ ডিজাইন করতে আদর্শ হিসেবে বিভিন্ন ব্লগ সাইটের ডিজাইন অনুসরণ করতে পারেন। আপনি “ব্লগে নতুন” এই শব্দটা মনে কখনই প্রশ্রয় দিবেন না অন্তত ডিজাইনের ক্ষেত্রে। ডিজাইন করতে নিজেকে সবসময় মনে মনে প্রফেশনাল মনে করুন। খুবই সাদামাটার মাঝেও আকর্ষণীয় ব্লগ ডিজাইন করা সম্ভব। প্রফেশনাল ডিজাইনাররা মূলত এটাই করে থাকে। ব্লগ ভিজিটর কোন ধরণের ডিজাইন পছন্দ করে সেটি ভাবুন অথবা নিজে নিজেই ব্লগের ভিজিটর হোন এবং ঠিক করুন ব্লগটি কেমন ডিজাইনের হওয়া উচিত। এভাবেই সাদামাটা একটি আকর্ষণীয় ব্লগ ডিজাইন করে ফেলুন।
ব্লগ ডিজাইন
৬. কন্টেন্ট লেখাঃ ব্লগিং এর প্রাণ বা রক্ত যাই বলুন না কেন, কন্টেন্ট হল ব্লগিং এর মূল সম্পদ। এই ব্যাপারে আমি হাজারবার শুধু একটা কথাই বলব সেটা হল, “ইউনিক কন্টেন্ট লিখুন”। অর্থাৎ নিজে লিখুন। কোন ক্রমেই কপি পেস্ট করবেন না। কপি পেস্ট কন্টেন্টের ১% মূল্যও নেই। আপনার কাছে কপি পেস্টের কাছে বিশাল কিছু হলেও আপনি বাদে সবাই কপি পেস্ট কন্টেন্ট ঘৃণা করে। আরেকটা কথা বলব সেটা হল, “কপি পেস্ট কন্টেন্ট দিয়ে ব্লগ লিখে আর যাই কিছু হওয়া যাক না কেন অন্তত ব্লগার হওয়া যায়না”। তাই এদিক ওদিক না দেখে সুন্দর, সাবলীল ভাষায় নিজের কন্টেন্ট লিখুন ধারাবাহিকভাবে। আপনি যে টপিক লিখবেন সে বিষয়ে পাঠককে সুন্দরভাবে বুঝাতে যেরকমভাবে বুঝাতে হবে ঠিক সেভাবেই আপনার লেখনীর মাধ্যমে বুঝাবেন। বানান ভুল না করার যথেষ্ট চেষ্টা করবেন। গ্রামাটিক্যাল এবং বানান ভুল চেক করার জন্য বিভিন্ন সাইট রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
ইউনিক কন্টেন্ট
৭. এসইওঃ ব্লগের কন্টেন্ট লিখলেন সুন্দর সুন্দর কিন্তু ভিজিটর তো আপনার কন্টেন্ট সম্পর্কে এমনি এমনি জানবেনা। ইন্টারনেটের বেশিরভাগ ব্যবহারকারিরা কোন বিষয় জানতে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন সাইটে সার্চ করে। কিন্তু এখানেও সমস্যা আছে। কেউ সার্চ করল আর হাজার হাজার ব্লগের মাঝে আপনার ব্লগটি প্রথম সার্চ রেজাল্টে আনতেই কাজ করে এসইও। এসইও শব্দের অর্থ হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। তাই ব্লগের জন্য কার্যকারী এসইও করতে পারলে আপনার ব্লগে আসতে থাকবে প্রচুর পরিমাণ পাঠক।
এসইও
পরিশেষে বলব, খুবই সহজ কয়েকটি কথায় আপনার নতুন ব্লগিং জীবনের জন্য কিছু টিপস দিলাম। জানিনা কতটুকু কাজে আসবে। তবে নিজের ব্লগিং জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই এসব টিপস আপনাদের জন্য শেয়ার করলাম। কিছুটা কাজে আসলে আমাকে দয়া করে জানাতে কার্পণ্যবোধ কখনই করবেন না। আপনার ব্লগিং জীবন সুন্দর, সার্থক হোক এই কামনায় শেষ করছি আজকের টিউন। সবাই ভালো থাকবেন।

সফলতা পেতে ফ্রিল্যান্সিং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা

কয়েকদিন আগেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্লগে প্রবেশ করি ফ্রিলান্সিং বিষয়ক একটি লেখা দিয়ে। সেখানে ফ্রিল্যান্সারের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ৫টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। কিন্তু এটা বলা হয়নি যে, কি কি চ্যালেঞ্জ তাকে মোকাবেলাবেলা করতে হতে পারে। কেউ নতুন কোন অর্থনৈতিকউদ্যোগ নিলেই তার প্রথম ও প্রধান বিষয়ের মধ্যে থকে-ইনভেস্ট, শ্রম ও আয়ের পরিমান বিশ্লেষণ।ভবিষ্যতে সফলতা পেতে এই বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ন।
success-photo1
আর এটাই অনেককে ফ্রিলান্সার হতে বাধা দেয়। চাকরীর বেপারটা এমন হয় যে, নিয়মিত এতটা থেকে এতটা আফিস করতে হবে। সপ্তাহে এত দিন বছরে এত দিন করে ছুটি পাবেন এবং এই এই আর্থিক সুবিধা পাবেন। কিন্তু একজন ফ্রিলান্সারকে কে কেউ এই বিষয়গুলোর নিশ্চয়তা দেবে না।
কিন্তু নিজের পরিশ্রম আর মেধা খাটিয়ে কাজ করতে পারলে আপানার স্বাধীন জীবনের বাধা বলতে কিছু থাকবে না। আর এই সব নিয়েই আজকের কথাবার্তা।

১. সুনির্দিষ্ট বেতন পাওয়ার সময়

মাস শেষে যারা সুনির্দিষ্ট পরিমান বেতন পেয়ে অভ্যস্ত হয়ে যায় তাদের যদি ফ্রীল্যান্সের দিকে আসতে বলেন তাহলে তারা নিশ্চয়তাটাকে অনেক বড় বলে মনে করবে। জীবনে যারা চ্যালেঞ্জ নিতে জানে না তারা এই দিকে ছুটে আসতে গেলে প্রথম বাধাটা হয় কবে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা পাবো। আরেকটা বেপার হলো-প্রত্যেকেরই মাসিক একটা খরচের তালিকা আছে যেটা প্রতি মাসে পাওয়াটাই জরুরী। আর এটা না হলে চলেই না।

২. কাজের সময় অসময়ের মাঝামাঝি কোন সময়

আজ একবারে ভোর সকালে উঠেই কাজে লেগে গেলাম। বর্তমানে আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ করছি। প্রতিটি আর্টিকেল প্রায় ১.৫ ডলার করে। সেই সাথে অফিসের বেপারটাও মাথায় রাখতে হয়। অফিস সকাল ১০ টা থেকে সন্ধা ৬ টা পর্যন্ত। তারপর আবার আমার নিজের মতো করে নেওয়া। সত্যিকারার্থে নিজে একজন শুধুই ফ্রীল্যান্সার হলে কাজের সময় ও অসময়ের মাঝে কোন দাগ কাটা যাবে না। অনেক সময় ধরে সামাজিক নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে হবে। এক দেশের দিন..আরেক দেশের রাত তাই অনেক সময় ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ রাখতে অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকতে হতে পারে। ব্লগারদের অনককেই দেখি অনেক রাতে কাজ করছে। বন্ধুদের আড্ডার আমন্ত্রনের ঝামেলা এড়াতে অনেকে লুকিয়েও থাকেন।

৩. মার্কেটিং

অফিসে কাজ করে আমার একটা বেপার অভ্যাসে পরিনত হয়েছিল যে, আমার কাজের সীমার বাইরে কোন কাজ করবো না। কিন্তু আপনাকে নিজেকে অনেক কাজই করতে হবে। প্রয়োজনে নিজের ঢোল নিজেকেই পেটাতে হবে। কিছু দিন আগেও আমি অনেকটা বর্ণচোরা ছিলাম। লোকজনের সাথে কথা বলা কাজ করার বেপারে নিজের মধ্যে জরতার অভাব নেই্আমার মধ্যে। কিন্তু এ বেপারটা থেকে সরে আসার চেস্টা চলছে। নিজেকে প্রকাশ না করলে এ ব্যবসায় উন্নতি করতে বেশি সময় লেগে যাবে।

৪. অগ্রহনযোগ্য প্রস্তাব

অনেক ধরনের প্রস্তাবই আপনার কাছে আসতে পারে। আপনি যেহেতু একজন ফ্রীল্যান্সার তাই আপনার কাজের পরিধিটা হয়তো সবাই নাও জানতে পারে তারা আপনাকে বিভিন্ন ধরেনর কাজের মজুরী নিধ্যারণ করতে পারে- যা আপনার কারা সম্ভব হলো না-অথচ এই কাজের জন্য আপনি অন্য কোন কাজ হাতে নেন নি। এরকম ঝামেলার বেপার থাকতেই পারে।

৫. এলোমেলো অনুরোধ ও কর্মসূচি

প্রত্যেক ফ্রীলান্সারেরই কোন না কোন তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হতে হয়। কাজ করতে গিয়ে দেখেছি- ক্লাইন্ট এমন কিছু চায় যা করলে বিষয়টি একবারে অসুন্দর হবে। আবার এমন কিছু চাইবে যা একবারে অসম্ভব। যদি কেউ চায় যে, তার সাইট খুবই দ্রুত লোড হবে এবং সাইটের প্রথম পাতায় কয়েকশত ছবি থাকবে তাহলে কি সেই অনুরোধ রক্ষা করা সম্ভব?
কয়েকদিন আগে এমনই এক তিক্ত অভিজ্ঞতার সাথে পরিচয় হলো আমার। এক বন্ধুর পরিচিত আমাকে জানালো তার সাইট একটি ওয়েবসাইট দরকার। তাকে ডোমেইন হোস্টিং আলাদাভাবে কিনে দেওয়ার পর সে আবার মত বদলালো, সাইট বানাবে না। সে বললো- হোস্টিং বিক্রি করে তাকে টাকা ফেরত দিয়ে দিতে। আমি যেখানে হোস্টিং ব্যবসার সাথে জরিত সেখানে তার হোস্টিং আমি বিক্রিকরে দেওয়ার দায় নেব কেন?
অনেক সময় কোন ক্লাইন্ট সাইটের ডিজাইন এমন রঙচঙে ভরে দিতে বলে যা দেখলে যে কেউ ডিজাইনারের সমালোচনা করবে।
কেউ কেই এমন বাজেট দেয় যা আমর মূল্যের ১০ ভাগের ১ ভাগের চেয়েও কম হয়। এ জাতীয় সকল সমস্যা একজন উন্নয়নশীল অবস্থার ফ্রীল্যান্সারের সুন্দরভাবে মোকাবেল করতে হবে।

তারপর ও ভালবাসি

এত ঝামেলার পরেও এটাকেই নিজের আসল পেশা হিসেবে বেছে নিতে চাই। আমার একটি ইংরেজী লেখায় চাকরী করার কুফল বর্ণনা করেছিলাম। আরেকটা প্রকাশনায় দেখিয়েছি চাকরী জীবনের কষ্টগুলো। সেই কারনেই নিজে স্বাধীন হতে চাই।

ফ্রিল্যান্সারের নিচের ৫টি বিষয় জানা প্রয়োজন (for new freelancer)

বাংলাদেশের মানুষের মাঝে ধীরে ধীরে ফ্রীল্যান্সিং এ আগ্রহ জন্মেছে। তবে ফ্রীল্যান্সার হিসেবে সফলতা পাওয়া খুব একটা সহজ নয়। আমি নিজে কোন বড় মাপের ফ্রিল্যান্সর না হলেও কিছু কিছু জিনিস মেনটেইন করি যা অনেকের কাজ লাগতে পারে। আমি মনে করি এসব বেপার একটু গুছিয়ে নিলে আপনার ফ্রীল্যান্সিং ক্যারিয়ার অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

১. বেশি বেশি পড়ালেখা

অনেক সময় কাজ কম থাকে বা কাজ থাকলেও একটি সময় নিজের ইম্প্রুভমেন্টের জন্য কাজ করে যাওয়া উচিত। কাজের ক্ষেত্রে কিছু কিছু জিনিস হয়তো জানা প্রয়োজন হয় আরা দেখা যায় সেটা শিখার কথা ভুলেই গিয়েছেন পরে। অথবা আজ যেটা শেখা গুরুত্বপূর্ণ মনে হলো কাল সেটা অপ্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে। এ বেপারগুলো হেলা না করে নিজের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়া উচিত।

২. নিজের মান বজায় রাখা

নিজের কাজের, পারিশ্রমিক, ব্যক্তিত্বের একটা মান বজায় রাখতে বলবো। অমি নিজেও দিনে ৪-৫ টা লেখা লিখতে পারি। অথচ নিজের মানের বেপারে সচেতন হওয়ায় ছোট এবং কম প্রয়োজনিয় বিষয় গুলোকে লেখা হয় না। এরকমই যে কোন কাজ পেলেই হাত পেতে না নিয়ে অবশ্যই নিজের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী চলা উচিত। আর এটাও খেয়াল রাখতে হবে নিজের মান এক জায়গায় থাকবে না। দিন দিন এটার উন্নতি করতে হবে আপনাকেই।

৩. ক্লাইন্ট/পরিচিতদের জন্য উপদেশের ব্যবস্থা রাখা

আপনার পোর্টফলিও বা ব্যক্তিগত ব্লগে অবশ্যই সমস্যার সমাধান দেওয়া, উপদেশ দেওয়ার একটা ব্যবস্থা রাখবেন। ফোনে বা মোবাইলে কেউ সহয়তা নিতে চাইলে তাএর উপদেশ দিবেন। এটা আপনার ভবিষ্যত চলার পথকে আরো সুন্দর করবে।

৪. নিয়মিত যোগাযোগ

যোগাযোগের বেপারে অবশ্যই অনলাইন ও অফলাইন দুই মাধ্যমে কাছে থাকার চিন্তা করবেন। আপনার সঙ্গে যুক্ত রাখুন অনেককে, আপনি যুক্ত থাকুন প্রয়োজনীয়দের সাথে।

৫. অন্যান্য ফ্রিলান্সারদের কমিউনিটিতে অংশগ্রহন

ব্লগ, ফোরাম, ফেসবুক, টুইটার সহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম সহ অফলাইনে কোন মিটিং, সাঙবাদিক সম্মেলন মিটআপে নিজেকে যুক্ত রাখুন। আপনার কাছে মনে হতে পারে এই কমিউনিটিতে যুক্ত থেকে আপনার কোন টাকা আসছে না, কিন্তু এটাই আপনার জীবেন নতুন পরিচয় এনে দেতে পরে, পরিচয় হতে পারে নতুন কোন আইডিয়ার। এ বিষয়গুলো পড়ে আমাকে অনেকে আমাকে ইচরেপাকাও বলতে পারেন, কিন্তু আমি আমার মতো করে বলেছি আপনি মতামত দিন আপনার মতো করে। সবাইকে ধন্যবাদ, লেখাটি পড়ার জন্য।

লেখালেখিঃ আর্টিকেল লিখার দক্ষতা অর্জনে ১৫টি ক্ষেত্র যেগুলোতে দক্ষ হলে হবেন দক্ষ আর্টিকেল রাইটার!

লেখালেখিটা আসলে এক ধরনের আর্ট। শব্দ নিয়ে খেলা এবং যথাযথ জায়গায় প্রকৃত শব্দটা প্লেস করতে পারাটা হল লেখালেখির প্রকৃত যোগ্যতা। আমরা জানি যে, লেখা যত বেশি গুছানো হবে, তত তা পড়তে মজা হবে, তত রিডার এঙ্গেজমেন্ট বাড়বে এবং একজন রাইটার এর সব ধরণের উদ্দেশ্য তখন সফল হবে।

লেখালেখি নিয়ে এর আগে একটি লেখা লিখেছিলাম। লেখাটি পড়া যাবে এখান থেকে।

ওয়েব কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় প্রাধান্য পায়। এইসব বিষয়গুলোর উপর যদি দক্ষতা অর্জন করা যায়, তবে ব্লগ পোস্ট অথবা ওয়েব কনটেন্ট অথবা ফ্রিলান্সিং রাইটিং টা আর ভালো করে করা যায়। এইসব বিষয়গুলো হচ্ছে...
১। শিরোনাম(Heading)
২। সূচনা (Introduction)
৩। আর্টিকেল বডি(Body Part)
৪। উপসংহার(Conclusion)
৫। কিওয়ার্ড অপটিমাইজেশন(Keyword Optimization)
৬। আর্টিকেল মার্কেটিং ও প্রোমোশন(Marketing & Promotion)
৭। ইমেজ(Image or Photo)
৮। একটিভ ও পেসিভ টন(Tone) এর উপযুক্ত ব্যাবহার(Perfect Usage Of Active & Passive Tone)
৯। রেফারেন্স এর উল্লেখ(Mentioning Reference )
১০। ডাটা উপস্থাপন এবং উপস্থাপন পদ্ধতি(Data Presentation & Presentation Style)
১১। সমার্থক শব্দের ব্যাবহার(Usage of Synonyms)
১২। সরল ব্যাকরণ এর ব্যাবহার(Usage of Simple Grammar)
১৩। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সামঞ্জস্যতা
১৪। পাঠকের দৃষ্টি দিয়ে লেখা পর্যবেক্ষণ(Observation of your writing according to your readers eyes)
১৫। Topic Sentence, Coherence, Sub-Heading, HTML elementary tags for web content

লেখালেখিটা ভালো করে করার জন্য উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা অর্জন করা আবশ্যক। উপরোক্ত বিষয়গুলো কিভাবে ভালো করে করা যায়, এর উপর জ্ঞান থাকলে এবং ভালো করে করতে পারলে, আশা করা যায় যে আর্টিকেল এর মান ভালো হতে পারে।

ইনশাল্লাহ, আল্লাহ সামর্থ্য দিলে, পর্যায়ক্রমে উপরোক্ত সবগুলো বিষয় নিয়েই টুকটাক(বেশি জানি না, এই কারনে) আলোচনা করার ইচ্ছা আছে। তবে, যাদের ইংরেজি ভালো তারা গুগোল এর হেল্প নিয়ে উপরোক্ত বিষয়গুলোর উপর ভালো করে স্টাডি করুন। আর যাদের ইংরেজি সমস্যা, তারা ইংরেজি চর্চা করুন বেশি বেশি করে। মনে রাখবেন, ইংরেজিতে ভাব প্রকাশ করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে এর উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আর এক্ষেত্রে নিয়মিত ও কৌশলগতভাবে ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করে গেলে একটা পর্যায়ে ভালো উন্নতি হবে ইনশাল্লাহ।

লেখালেখিতে দক্ষতা অর্জনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হল, নিয়মিত চর্চা। আমরা জানি যে, Practice Makes Perfect. সুতরাং, একজন নতুন লেখকের নিয়মিত চর্চা অর্থাৎ প্রত্যেকদিন ই কমবেশি কিছু লিখে যাওয়া উচিত।

কোন বিষয়ে কোর্স সম্পন্ন করেছেন, এরপর আপনার পদক্ষেপ কি?

কোন কাজের জন্য লোক চেয়ে কিংবা কোন চাকুরির বিজ্ঞপ্তি দিলে দক্ষ কাউকে পাওয়াটা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে থাকে।
এ ক্ষেত্রে কারণ ৩টা থাকে।
১) এদেশে এখনও এ ধারণার পরিবর্তন আছেনি, অনার্স-মাষ্টার্সের সার্টিফিকেটিই এখনকার যুগে অনেক বড় যোগ্যতা না। প্রত্যেকেই পড়ালেখার পাশাপাশি টেকনিক্যাল বিষয়ে অনেক দক্ষ। অনেকের যোগ্যতা দেখলে নিজেকে অনেক ছোট মনে হয়।
২) অনেকেই ভাল যোগ্যতার কারণে সবাই তাদেরকে নিয়েই টানা হ্যাচরা করে। সেজন্য তাদেরকে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। এসব দক্ষ ব্যক্তিরা নিজেরা কাজ পাওয়ার জন্য দৌড়ায়না। কাজ তাদের পিছনে দৌড়ায়। তারা বরং কাজের হাত থেকে পালিয়ে বাঁচতে চায়।
৩) আরেক শ্রেণী সফলতার খুব কাছাকাছি ধাপে চলে এসেও হতাশ আর বেকার। তারা নিজেকে দক্ষ করে তোলার জন্য হয়ত ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণ সম্পন্ন করেছে। কিন্তু তারপরও বেকার দেখে সবকিছুকে অনর্থক মনে করা শুরু করে।
মূলত এ লেখাটা ৩য় শ্রেনীকে উদ্দেশ্য করেই লেখা।

বর্তমান যুগ মাল্টিস্কীলডের যুগ:

যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। নিজেকে দক্ষ করার জন্য সময় কিংবা টাকা ব্যয় করলে সেটাকে কখনও অনর্থক মনে করার কারণ নেই। এ যুগে প্রত্যেকে মাল্টি স্কীল। আমাদের কোম্পানীতে লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় স্টুডেন্টদের মধ্য থেকেই নিয়ে থাকি। একবার স্টুডেন্ট কাউন্সিলিং করার জন্য লোক চেয়ে কোথাও না পেয়ে বাধ্য হয়ে বিডিজবসে অ্যাডভার্টাইজ পোস্ট করি। সেই বিজ্ঞাপন দেখে ৪দিনে প্রায় ৮০০ মেয়ে অ্যাপ্লিকেশন জমা দেয়। এর মধ্যে প্রায় ১৩০জন মেয়ের কোয়ালিফিকেশন ছিল, তারা এমবিএ সম্পন্ন করা কিংবা ঢাকার প্রসিদ্ধ ভার্সিটি (যতদূর মনে পড়ে ঢাকা ইউনিভার্সিটি, ব্রাক ইউনিভার্সিটি) থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করা কিংবা কয়েকজন ছিল অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেটের পাশাপাশি আরও অনেক কিছুতেই তাদের দক্ষতা ছিল। এরকম দক্ষ মেয়েদের অ্যাপ্লিকেশন জমা পড়েছে স্টুডেন্ট কাউন্সিলিং পোস্টের জন্য। সেটা নিয়ে যদি ভালভাবে মনে মনে চিন্তা করে বুঝতে পারবেন, বর্তমান যুগে আপনার আমার যতটুকু স্কীল সেটা নিয়ে তৃপ্ত কিংবা অহংকার করার কিছুই নাই, নিজেকে তখন অনেক ক্ষুদ্র মনে হয় আমার। আর এটাও বুঝা উচিত, এরকম সিভি যখন কোন বায়ারের কাছে কিংবা কোন কোম্পানীর প্রধানের কাছে জমা পড়ে, তখন আপনার চাকুরি পাওয়ার সম্ভাবনা কতটা কমে যায়। সুতরাং শুধু অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট নিয়ে তৃপ্ত থাকবেন, এবং পরে সেগুলো দিয়েও জীবনে কোন ধরনের চাকুরি না পেলে মা-চাচার আফসোস করবেন, সেটি আসলেই কতটা বাস্তবতা বিরোধী সেটি এখন হয়ত চিন্তা করতে পারবেন।
এ পোস্টে মূলত বলব, যারা বুঝতে পেরেছেন এক্সট্রা অনেক কিছুই অর্জন করাটা জরুরী। সেটা বুঝে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আইটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলেন। এরপর কি আসলে সবাই সফল হচ্ছে? এ মুহুর্তে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ ট্রেনিং ইন্সটিটিউট হিসেবে ক্রিয়েটিভ আইটি হচ্ছে কোন সন্দেহ ছাড়া সবচাইতে সেরা প্রতিষ্ঠান। ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, প্রশিক্ষকদের কোয়ালিটি, স্টুডেন্টদের সফলতা সবকিছুর দিক দিয়েই কোন ধরনের তর্ক ছাড়াই সবচাইতে সেরা প্র্রতিষ্ঠান এটি। কিন্তু এরপরও এখানকার ভর্তি হওয়া স্টুডেন্টদের মধ্যেও সফল হচ্ছেন মাত্র ৬০%। বাকিরা কেন সফল হচ্ছেনা, সেটি এ পোস্টের মূল আলোচনা।

নতুন কোর্স সম্পন্নকারীরা পুরো সফলতা দ্বারপ্রান্তে না, সফলতার কাছাকাছি:

আগে বলে নেই, বিষয়গুলো সম্পূর্ণ নিজের উপলব্ধি থেকে বের করা তথ্য। ট্রেনিং ডিপার্টমেন্টের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততা এবং নিজের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে নতুনদের নিয়ে টীমওয়ার্ক কাজ করার কারনে কিছু ব্যক্তিগত উপলব্ধি হয়েছে, সেগুলোই এখানে আলোচনা হবে।  অনেকের আরও অনেক মতামত থাকতে পারে। সেগুলো কমেন্টে যোগ করে দিতে পারেন।
প্রায়ই নতুন ওয়েবডিজাইনার, গ্রাফিক ডিজাইনার কিংবা এসইও জানা ব্যক্তিদের নিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করার সুযোগ দিয়ে থাকি, যাতে তাদের বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা তৈরি হয়, এক্ষেত্রে ডেমো ক্লায়েন্ট হওয়ার চেষ্টা করি। সেখান থেকে নতুনদের যে যে সমস্যা দেখেছি, সেগুলো শেয়ার করছি। যাতে নতুনরা নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যেতে পথ খুজে পান।

যারা এসইও কোর্স সম্পন্ন করেছেন:

এসইও: এসইও যারা কোর্স সম্পন্ন করেছেন, তাদের মধ্যে দ্রুত ইনকামের চিন্তাটা একটু বেশি থাকে। তারা কোর্স চলাকালীন এমনকি মাত্র ৬-৭টা ক্লাশ শেষ হলেই আয় করার জন্য খুব বেশি টেনশন শুরু করে দেয়। এদের মধ্যে কাউকে কাউকে কাজ দিয়ে দেখেছি। কোন কিছুকে প্রমোশন করে দেখেছি, ২-৩দিন কিছু সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রমোশন চালালো আর ভাবল কাজ হয়ে গেছে এবং কাজ হয়ে যাওয়ার ফলাফলে অপেক্ষাতে থাকে। ফলাফল না পেলে ভেবে নেয়, কাজ তাকে দিয়ে হবেনা। আবার যারা ফোরাম পোস্টিং কিংবা ব্লগ কমেন্টিংয়ের কাজ করেন। তাদের দেখা যায়, ১০টি ব্লগে কমেন্ট করেছেন, কিন্তু একটা কমেন্টেও অ্যাপ্লুভ হয়নি। সেটি তাদের হতাশার কারন হয়ে যায়।
পরামর্শ: সোশ্যাল মিডিয়াতে টার্গেটেড ট্রাফিক ঠিক করে কাজ শুরু করতে হয়। তারপর নিয়মিত যাতে প্রমোশন হয় সেজন্য প্রমোশন ক্যালেন্ডার তৈরি করতে হয়। সেই ক্যালেন্ডার অনুযায়ি প্রতিদিন ৩বেলা করে পোস্ট, সেই পোস্টের জন্য কনটেন্ট অ্যানালাইস করে তৈরি করতে হয়। তারপর সেইভাবে ৭-১০দিন সঠিকভাবে প্রমোশন করলে সফলতা আছে। সেটি নতুনদের মাথাতে আছেই না। শুধু লিংক সোশ্যালমিডিয়াতে শেয়ার করতে পারলেই সোশ্যাল মিডিয়া স্পেশালিস্ট হওয়া যায়না।
আর ব্লগ কমেন্টিংয়ে ক্ষেত্রে দেখা যায় ভাল কোন পেজ র‌্যাংক সাইটে কমেন্ট করলে ১০০টা সাইটে কমেন্ট করে আসলে অনেক সময় মাত্র ১০টা সাইটে সেই কমেন্ট অ্যাপ্লুভ হয়। সেই বিষয়টি হতাশ হওয়ার বিষয়ইনা বরং এটি বাস্তবতা।

যারা গ্রাফিক ডিজাইন শিখেছেন:

গ্রাফিক ডিজাইনার: বেশিরভাগ নতুন যারা গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স সম্পন্ন করেছে, তারা খুব কমই জানে যে, তারা সবে মাত্র গ্রাফিক ডিজাইনের টুলসকে ব্যবহার শিখেছে মাত্র। ডিজাইনার হওয়ার আরও অনেক দেরি আছে। টুলস ব্যবহার জানলেই ডিজাইনার হওয়া যায়না। এসব নতুন ডিজাইনাররা দেখা যায় খুব ভাল পারে ইমেজ ম্যানুপুলেশনের কাজ। আর তাতেই খুব তৃপ্ত থাকে। আবার যখন কোন ডিজাইনের কাজ দেওয়া হয়, সেটার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিজের মাথা থেকে বের হওয়া ডিজাইনকেই ব্যবহার করে। অন্যদের ডিজাইন দেখে কিভাবে কনসেপ্ট তৈরি করতে হয়, সেই নলেজ তাদের মধ্যে একদমই থাকেনা।
পরামর্শ:  খুব বেশি বেশি ফ্লাইয়ার, ফেসবুকে কভার ফটো ডিজাইন করার প্রাকটিস করুন। এসব করতে গিয়ে নিজের মাথা থেকে কনসেপ্ট বের করলে হবেনা। যখন ডিজাইন করবেন তখন ব্যাকগ্রাউন্ড কালার কি ব্যবহার করবেন, সেই উদ্যেশ্যে গ্রাফিক রিভার হতে প্রচুর ডিজাইন দেখুন। ভিতরে যখন কোন ছবি ব্যবহার করবেন , এ উদ্দেশ্যে আবার দেখুন বিভিন্ন ডিজাইন। সেখান থেকে আইডিয়া এনে নিজের ডিজাইনে ব্যবহার করুন। ডিজাইনে লিখা আসছে, কোন ফন্ট ব্যবহার করবেন, সেটিও নিজের মাথা থেকে চেষ্টা করবেননা। এটাকে টার্গেট করে আবার ডিজাইন দেখুন অনেকগুলো। তারপর প্রাপ্ত আইডিয়া থেকে ডিজাইন করুন। এরকমভাবে যখন কোন ডিজাইন করবেন সেটি দেখবেন, প্রফেশনাল ডিজাইন হয়ে যায়।

যারা সদ্য ওয়েবডিজাইন কোর্স সম্পন্ন  করেছেন:

ওয়েবডিজাইন: নতুন ওয়েবডিজাইন মাত্র শিখেছে, চাকুরি পাচ্ছেনা কেন, সেটি নিয়ে হতাশ। এরকম কয়েকজনকে ওয়েবডিজাইনের কাজ দিয়েছি। যাতে বুঝিয়ে দিতে পারি, কোড জানলেই যে তুমি নিজেকে ওয়েবডিজাইনার মনে করে সেটা কত বড় বোকামী। তাদেরকে কাজ দিয়ে যখন নিজের চাহিদা অনুযায়ি বিভিন্ন বিষয় করতে বলি, তখন তাদের বক্তব্য হয়, আমি সেটা কখনও করিনাই। সে এইচটিএমএল জানে, তাকে এইচটিএমএল সম্পর্কিত কাজটিই করতে দিয়েছি। তারপরও তার বক্তব্য হচ্ছে এটি। তারা আসল শিক্ষাটাই গ্রহণ করেনি, ওয়েবডিজাইনারদের সবকোড মুখস্থ থাকতে হয়না আর তাদের মুখে, সেটা কখনও করিনাই, এটা বলাটা কতটা পাপ।
পরামর্শ: ওয়েবডিজাইনার যখন হয়েছেন তখন মনে রাখবেন, সবার আগে আপনাকে গুগলিংয়ে এক্সপার্ট হতে হবে। যে যত বড় ওয়েবডিজাইনার কিংবা ডেভেলপার সে ততবেশি গুগলের উপর নির্ভরশীল। আপনি কোর্স শুধু প্রাথমিক কোডগুলো শিখেছেন এবং কোড সম্পর্কে ওয়েবডিজাইন কিভাবে করতে হয়, তার প্রাথমিক জ্ঞানটা অর্জন করেছেন। কোড কখনও মুখস্থ করে শেষ করতে পারবেননা। যেকোন প্রজেক্টে প্রয়োজন অনুযায়ি কোড গুগল হতে খুজে বের করতে এবং সেগুলো ব্যবহার করা জানলেই বড় ওয়েবডেভেলপার হতে পারবেন।
advice2

যারা কাজ শিখেছেন এখন কি করবেন সেটি পরামর্শ দিয়ে এর আগেও লিখেছিলাম। সেটি নিয়ে লিখেছিলাম আগে একটি পোস্ট।
লিংক: http://genesisblogs.com/tips-2/3304

এখানে মূলত ৩ ক্যাটাগরি নিয়ে আলোচনা করলাম। সবার জন্য কমন কিছু পরামর্শ:

আপনি যখন কোন কিছু বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছেন নিজেকে স্কীল করার ব্যাপারে ১ধাপ এগিয়েছেন কিন্তু প্রফেশনাল কাজ মত স্কীলড হয়ে গেছেন, মনে করলে ভুল করবেন। তখন সাফল্যে কাছাকাছি চলে এসেছেন। কিন্তু এখনও প্রফেশনাললি কাজ করার জন্য প্রস্তুত হননি। তখনই যদি মাথাতে টাকা ইনকামের নেশাটা বেশি কাজ করে, যেটুকু কষ্ট করে শিখেছেন এবং যেটুকু অর্থ ব্যয় করছেন, সব অর্জনটাই অকেজো হয়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে। মনে রাখতে হবে, আপনাকে যখন কেউ শিখাবো তখন দেখাতে পারবে কিভাবে রাধতে হয়, রান্না করার জন্য কি কি করতে হয়। এরপর আপনার ট্রেইনার আপনাকে রান্নাটাও করে দিবে, মুখে উঠিয়ে খাইয়েও দিবে, সেটি আশা করাটা নিতান্তই আনম্যাচেইউরড চিন্তাভাবনা। আপনাকে নিজেকেই রান্না করতে হবে, নিজেকেই খুজে বের করতে হবে, সেই রান্নাতে কি করলে আরও মজার রান্না হয়।

ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে হলে যা শিখতে হবে

ডাটা এন্ট্রির কাজ করে অনেক তরুন এবং যুবক তাদের ভাগ্য বদলে ফেলেছে। অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছে, অনেকে তার চাইতেও বেশিকিছু অর্জন করেছে।
অনেক চাকুরীজীবি চাকুরীর পাশাপাশি ডাটা এন্ট্রির কাজ করে অতিরিক্ত উপার্যন করছে। অনেকে ডাটাএন্ট্রি জগতে যথেষ্ট পরিচিতি পাওয়ায় ও দক্ষতা অর্জন করায় পার্টটাইম কাজ করে মাসে যখন লক্ষাধিক টাকা উপার্যন করছে, তখন তারা চাকুরী ছেড়ে ফুলটাইম ডাটাএন্ট্রির কাজের প্রতি মনোনিবেশ করছে।
আশেপাশের অনেকের এমন অবস্থা দেখে অনেক তরুন-তরুনী, এমনকি কলেজের শিক্ষার্থীরাও আজ নিজেরা স্বাবলম্বী হতে টিউশনি ছেড়ে ডাটাএন্ট্রির কাজের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
কিন্তু অনেকেরই আগ্রহ থাকলেও ডাটা এন্ট্রির কাজের উপর ভাল ধারনা না থাকায়, কিংবা সঠিক গাইড-লাইন না পাওয়ায়, ডাটাএন্ট্রির কাজ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারছে না। অসংখ্য তরুণের একটাই প্রশ্ন, ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে হলে কি শিখতে হবে?
আমি এবং আমার টিম গত ৫ বছর যাবৎ ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে সাফল্যের সাথে ডাটাএন্ট্রির কাজ করে যাচ্ছি। একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার হওয়ার কারনে নতুনরা যখন আমাকে এমন প্রশ্ন করে, ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে হলে কি শিখতে হবে? তখন অভিজ্ঞতার আলোকে নতুনদের জন্য অবশ্যই কিছু গাইড-লাইন দেওয়া অপরিহার্য হয়ে যায়। 

এমন কিছু সম্মানজনক কাজ যেগুলো ঘরে বসে করলেও আন্তর্জাতিক ভাবে খ্যাতি অর্জন করা যাবে!!!

আজ থেকে ৫-১০ বছর পেছনে যদি একবার তাকান তাহলে দেখতে পাবেন ঘরে বসে কোন কাজ করাকে কতোটা নিচু স্তরের কাজ বলে মনে করা হতো। কারন ঘরে বসে কাজ বলতে তখন ছিলো- দর্জি, কাঁথা সেলাই, কুটির শিল্প, ছবি আঁকা ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলো কোন শিক্ষিত ছেলেদের কাজ বলে গন্য করা হতো না। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে তথ্য প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেটে মানুষের বিচরন বেড়ে যাবার কারনে এই কাজের ক্ষেত্রও অনেকাংশে বেড়ে গেছে। এখন আপনি চাইলে ঘরে বসেই প্রথম শ্রেনীর কাজগুলো অনায়াসেই করতে পারবেন। যা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আপনার অবস্থানকে করবে আরো সুদৃঢ়। বর্তমানে ওডেস্ক, ইল্যান্স, গুরু সহ আরো কিছু প্লাটফর্ম আছে যার সাহায্যে হাজার হাজার তরুণ তরুণী তাদের কাঙ্খিত ভবিষ্যৎ নিজের হাতে তৈরী করছে। আজকের টিউনে আপনারা জানতে পারবেন এমন কিছু সম্মানজনক কাজ যেগুলো ঘরে বসে করলেও আন্তর্জাতিক ভাবে খ্যাতি অর্জন করা যায়। তাহলে আর দেরি কেন? চলুন যেনে নেই আপনার জন্য কোন জায়গাটা অপেক্ষা করছে।

Writter বা লেখক

রাইটার বা লেখক কথাটা শুনলেই কেমন জানি হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবাল কিংবা আনিসুল হকের কথা মনে আসে। এ কারনে আপনার মনে হতে পারে লেখক হতে হলে আপনাকে অনেক বই লিখতে হবে এবং সেগুলো যথাযথ ভাবে প্রকাশ করে পাঠকের কাছে পৌছাতে হবে। কিন্তু একজন ফ্রিল্যান্সার লেখক মানে এরকম কিছু না, যে শুধু বই লেখবে এবং সেগুলো প্রকাশ করবে। আপনার কাজের জন্য রয়েছে বিশাল এক ক্ষেত্র। আপনি বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেল লিখতে পারেন, ব্লগ বা ফোরামের জন্য টিউন লিখতে পারেন, বিভিন্ন ওয়েব সাইটের পেইজের কন্টেন্ট লিখে দিতে পারেন, প্রডাক্টের রিভিউ দিতে পারেন কিংবা যে কোন টেকনিক্যাল ডকুমেন্ট বা আরো কিছুই আপনি লিখতে পারবেন। আমরা যদি কাজের জন্য বিশ্বসেরা ওয়ার্কিং প্লাটফর্মগুলো দেখি তাহলে দেখবো আমাদের ধারনাতীত নিবন্ধধিত রাইটার রয়েছে সেখানে। আর কাজের ক্ষেত্র তো ব্যাপক। চলুন এক নজরে পরিসংখ্যানটা একটু দেখে নেই।
Statistics of Writter In Different Platform
OdeskElanceGuru
263,700 জন রাইটার24,177 জন রাইটার180,000 জন রাইটার

Editor বা সম্পাদক

যেখানেই মধু আছে সেখানে মাছি তো থাকবেই। তার মানে একটু আগে যে বললাম, বিভিন্ন প্লাটফর্মে শত সহস্র রাইটাররা কাজ করছেন। তাহলে তাদের কাজগুলোর জন্য অনেক বেশি পরিমানে এডিটিং এর প্রয়োজন তো হবেই। মজার ব্যাপার হলো রাইটারদের সাথে তুলনা করলে এডিটর এর সংখ্যা কিন্তু কম না। এবার বলছি একজন এডিটর এর কাজ আসলে কী? বিশাল বিশাল কমিউনিটি ব্লগ গুলোতে কোন টিউন পাবলিশড করার আগে সেগুলো এডিট করা হয়, ওয়েব পেজের কন্টেন্ট এবং ইবুক এডিটিং এর জন্যও এডিটরের চাহিদা ব্যাপক। বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রায় সহস্রাধিক ফ্রিল্যান্স এডিটর কর্মরত আছেন। তারা একই সাথে রাইটার এবং এডিটরের কাজ করে বলে আসলে তাদের সঠিক সংখ্যাটা বলা সম্ভব না। আপনি যদি ইংরেজিতে পারদর্শি হয়ে থাকেন, আপনার ব্যাকরণগত দক্ষতা যদি অনেক বেশি থাকে তাহলে আপনার জন্য সব চেয়ে উপযুক্ত কাজ হলো এডিটিং। কারন ভালো এডিটরদের চাহিদা বিশ্বব্যাপি প্রথম শ্রেণীর। বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে আপনাকে খুঁজে বের করা হবে তাদের ব্লগ, ম্যাগাজিন কিংবা অনলাইন নিউজ পেপারের জন্য। তাহলে আর দেরী কেন? আজই যে কোন প্লাটফর্মে নিজের জন্য তৈরী করে ফেলুন একটি আকর্ষনীয় এবং শতভাগ পরিপূর্ণ প্রোফাইল।

Translator বা অনুবাদক

একজন অনুবাদকের কাজ হলো একটি ভাষার শব্দকে অন্যভাষায় রূপান্তরিত করা। তবে যদি মনে করেন থাকেন যে সব ভাষাকে ইংরেজিতে কিংবা ইংরেজি থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তরিত করবেন তাহলে সামান্য ভুল হবে। আপনাকে চাইনিজ থেকে স্প্যানিস কিংবা কিংবা হিন্দি থেকে এরাবিক করতেও হতে পারে। তবে আপনি আপনার পারদর্শিতা মোতাবেক কাজ করতে পারবেন। মজার ব্যাপার হলো যেখানে প্রায় সারাবিশ্বে ১৮০,০০০ লোক লেখালেখির সাথে সম্পৃক্ত সেখানে ফ্রিল্যান্স প্লাটফর্মগুলোতে মাত্র ১৫ হাজার অনুবাদক আছে। সুতরাং এটা বলা যেতে পারে আপনি ভাষা বিষয়ে দক্ষ হলে খুব তাড়াতাড়ি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।

সফটওয়্যার ডেভেলপার

সফটওয়্যার ডেভেলপারদের চাহিদা প্রায় আকাশ চুম্বি। তবে যেন তেন লোকের জন্য এই সেক্টরে কাজ করা কঠিন। কারন সারাবিশ্বের বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রায় ৬০ হাজার সফটওয়্যার ডেভেলপার রয়েছেন যাদের রেটিং ৪.৫/৫ এর উপরে। নিজে যদি যোগ্য থাকেন তাহলে আপনার যোগ্যতা প্রমাণের সময় এসে গেছে। আজই লেগে পড়ুন নিজেকে প্রমাণ করতে।

অনলাইন টিউটর

আপনি যদি হয়ে থাকেন একজন উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি, আপনি হয়ে থাকেন গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, ইংরেজি কিংবা অন্যকোন সাবজেক্টে বিশেষজ্ঞ তাহলে এই ক্ষেত্রটি শুধুই আপনার জন্য। একটি সুন্দর ওয়েব ক্যামেরা, ভালো একটি ইন্টারনেট কানেকশন এবং একটি উপযুক্ত প্রোফাইল আপনাকে হাজার হাজার ডলার আয় করতে সহযোগিতা করবে। তবে আপনার যদি নিজেকে প্রমাণ করার জন্য কোন ‍উপযুক্ত সার্টিফিকেট না থাকে তাহলে আপনি কেবল সেকেন্ড ল্যাংগুয়েজ হিসাবে ইংরেজি শেখাতে পারবেন যদি আপনি ইংরেজি ভালো বলতে পারেন। বর্তমানে ওডেস্ক, ইল্যান্স এবং গুরুতে ফ্রিল্যান্স টিচারের সংখ্যা যথাক্রমে- ৭০০০, ৩০০০ এবং ৪০০০ হাজার। আপনার সফলতার উজ্জল সম্ভাবনা কতোটুকু সেটা নিজেই অনুমান করুন।

ফিটনেস ট্রেইনার

এটা খুবই দুর্লভ একটি চাকরীর ক্ষেত্র। কারন সারাবিশ্বে এখনো এর ব্যাপক চাহিদা থাকলেও উপযুক্ত ট্রেইনারের সংখ্যা আসঙ্কাজনক হারে সীমিত। আপনি যদি একজন সার্টিফায়েড জিম ট্রেইনার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার চাহিদা এখন সর্বাধিক। কোন প্রকার প্রতিযোগিতা ছাড়ায় খুঁজে পেতে পারেন আপনার ক্লায়েন্টকে। বর্তমানে টপ ফ্রিল্যান্স প্লাটফর্মগুলোতে যেমন গুরুতে ৯০০০ এর মতো, ওডেস্ক এ ২০০ এর মতো এবং ইল্যান্সে ৪০০ এর মতো ফিটনেস ট্রেইনার রয়েছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন আপনার চাহিদা এখানে কতোটুকু। স্কাইপ কিংবা ভিডিও কলিং এর মাধ্যমে সেবা দিতে আজই তৈরী করুন আপনার ব্যক্তিগত প্রোফাইল।

 শেষ দিকে আসলেও ওয়েব ডিজাইনার কিংবা গ্রাফিক্স ডিজাইনারে কথা কিন্তু বলিনি। আপনারা হয়তো খুবই আশ্চর্য হয়েছেন। অনেকেই হয়তো টিউনটাকে অসম্পূর্ণ ভাবতে পারেন। আসলে এই দুইটা বিষয়ের চাহিদা এখন সর্বোচ্চ লেবেলে পৌছে গেছে। বাংলাদেশের আইটি কোচিংগুলো এই দুইটা বিষয়কে পুঁজি করেই তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে দক্ষ লোকের পাশাপাশি অদক্ষরাও মার্কেটা ধ্বংসের পাশাপাশি গড়ার কাজ করে যাচ্ছে। তবে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রগুলোও এই দুই ক্ষেত্রে সর্বাধিক। আশা করি ভেবে চিন্তে নিজের একটা সুদৃঢ় অবস্থান তৈরী করবেন।

পেশাগত স্বাধীনতা বিশ্লেষণঃ ব্লগিং নাকি ফ্রিল্যান্সিং ???

ফ্রিল্যান্সিং নাকি ব্লগিং? কোনটি স্বাধীন পেশা? এই প্রশ্ন কি কখনও আপনার মাথায় এসেছে? কখনও কি বিচার বিশ্লেষণ করেছেন? আমার মাথায় হঠাত এই প্রশ্নটা ঘুরছে। অভিজ্ঞতা এবং ব্যক্তিগত মতামতের ভিত্তিতে তাই লিখতে বসলাম। আসলে কোনটি স্বাধীন পেশা? ফ্রিল্যান্সিং নাকি ব্লগিং?

ফ্রিল্যান্সিং কি?


ফ্রিল্যান্সিং
বিচার বিশ্লেষণের আগে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং এবং ব্লগিং জিনিসটা কি? প্রথমেই জানি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে। তার আগেও আরেকটি ব্যাপার কিছুটা পরিষ্কার করে বলতে চাই। আমরা আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং শব্দ দুটোকে একই মনে করে থাকি। কিন্তু আসলেই কিন্তু তা নয়। আপনার বা আপনার প্রতিষ্ঠানের কোন কাজ নিজের প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীর দ্বারা না করিয়ে অন্য কাউকে দিয়ে করিয়ে নেয়াকে আউটসোর্সিং বলা হয়। আর ঘরে বসেই বাহিরের কোন প্রতিষ্ঠানের কাজ পারিশ্রমিকের বিনিময়ে করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। কোন এক জায়গায় পড়ে, এমন সংজ্ঞাই জানতে পেয়েছি। তবে ভুল বলে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমরা আউটসোর্সিং নিয়ে কথা বলছিনা। আমরা বলছি ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে। তাই আউটসোর্সিং কে আপাতত টপিকের বাহিরে রাখি। আমরা সাধারণত ওডেস্ক, ফ্রিল্যান্সারের মতো মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন কাজ আমাদের যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করি এবং সেই কাজটা পেলে নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের বিনিময়ে সেটা করে দেই ক্লায়েন্টকে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং অনেক জনপ্রিয় একটি পেশায় পরিনত হয়েছে। যা স্মার্ট আয়ের পথও হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে কোন কাজ করার ধাপগুলো আরেকটু মনে করিয়ে দেই। প্রথমে অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলো যেমনঃ ফ্রিল্যান্সার, ওডেস্কে বিভিন্ন কাজ পোস্ট হয়। ধরুন আপনি একজন ওয়েব ডেভেলপার এবং আপনার সম্পর্কিত একটি কাজে আবেদন করলেন আর সেটা পেয়েও গেলেন। সময় ১০দিন, পারিশ্রমিক ১০০ ডলার। এখন আপনাকে অবশ্যই এই ১০ দিনের মাঝে ওই কাজটি করে দিলেই ১০০ ডলার পাবেন। আপনি কাজটা ১০ দিনের মাঝে যেকোন সময়ই করতে পারেন তাও আবার ঘরে বসেই। আর এটাকেই বলা হয়ে থাকে "ফ্রিল্যান্সিং"।

ব্লগিং কি?


ব্লগিং
এবার আসি ব্লগিং এর সংজ্ঞায়। ব্লগিং সম্পর্কে আমার এই লেখাটি পড়তেও পারেন। কিছুটা বিস্তারিত জানবেন। আর এখন সংক্ষেপে কিছুটা বলি। কোন বিষয় বা সীমাহীন কোন বিষয় নিয়ে অনলাইনে লেখালেখিকেই এক বাক্যে ব্লগিং বলা চলে। তবে ব্লগিং দুই ধরনের হতে পারে। শখের ব্লগিং এবং আয়ের জন্য ব্লগিং। আমরা এখানে যেহেতু পেশা নিয়ে কথা বলছি। তাহলে নিশ্চই আয়ের জন্য যে ব্লগিং করা হয় সেটাকেই সামনে আনব? ব্লগিংও এখন আয় উপার্জনের এক বিরাট পেশা। তবে বাংলাদেশে এই পেশা এতো জনপ্রিয় না হওয়ায় এটা আমাদের কাছে খুব একটা বোধগম্য নয়। ব্লগিং করে লাখপতি, কোটিপতি ব্লগারদের সম্পর্কে জানতে পারবেন একটু গুগলে সার্চ দিলেই। এ ক্ষেত্রে আমি ইন্ডিয়ান ব্লগার Harsh Agrawal এর নাম তুলব। যিনি ব্লগিং করে আয়ের অন্যতম একজন সফল ব্লগার। শখের বশে শুরু করেও শেষ পর্যন্ত তিনি একজন পেশাদার ব্লগার হয়ে উঠেছেন এবং ব্লগিং কেই পেশায় পরিণত করেছেন। হাজার হাজার ডলার মাসে আয় করেন অ্যাডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং আরও কিছু বিজ্ঞাপন এজেন্সির মাধ্যমে। অন্যতম জনপ্রিয় টেক ব্লগ হলো ShoutMeLoud.Com । আর এই ব্লগই তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়েছে। গ্রাজুয়েট করে আজ তিনি অন্য সাধারন ১০ জনের মতো চাকুরী করেন নি। ব্লগিং কেই বানিয়েছেন পেশা। আর তা থেকে যা আয় হয় তা সাধারন কোন পেশার সাথে তুলনা করা চলে না। বলতে হয় অনেক অনেক বেশিই আয় করেন তিনি ব্লগিং করে। আমি আবার কাহিনীতে চলে যাচ্ছি। অযথা দীর্ঘাইয়িত করছি লেখাটা। আমি আসলে বলতে চাচ্ছি ব্লগিং এর সংজ্ঞাটা। আপনি কোন এক বিষয়ে ব্লগ লেখেন, অনেক অনেক ভিজিটর পান আর সেখানে অ্যাডসেন্স বা অন্য কোন অ্যাড এজেন্সি কিংবা অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে আয় করতে পারেন হাজার হাজার ডলার।

ব্লগিং vs ফ্রিল্যান্সিং। কোনটি স্বাধীন পেশা?

পেশাগত স্বাধীনতা


আশা করছি, ফ্রিল্যান্সিং এবং ব্লগিং সম্পর্কে ধারনা পরিষ্কার। তবে একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলতে চাচ্ছি, আমি ফ্রিল্যান্সিং এবং ব্লগিং কে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাড় করাচ্ছিনা। মাইন্ড ইট। আমি আমার নিজের দৃষ্টিকোণ থেকে শুধু পেশাগত স্বাধীনতার ভিত্তিতে কিছুটা আলোচনা করছি। আমার ব্যক্তিগত মতে, আয় সমান বা কিছুটা তারতম্য হলেও ব্লগিং এবং ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে ব্লগিং কেই আমি স্বাধীন পেশা হিসেবে দেখি। ফ্রিল্যান্সিং করেও আপনি হাজার হাজার ডলার আয় করতে পারেন। আবার ব্লগিং করেও হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারেন। কিন্তু পেশাগত স্বাধীনতার কথা চিন্তা করলে কোনটি অগ্রাধিকার পাবে? আপনার মতে কি? আপনি ওডেস্ক বা ফ্রিল্যান্সার ডট কম মার্কেটপ্লেসগুলোতে যে কাজগুলো পান সেগুলো গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে বুঝতে পারবেন, ফ্রিল্যান্সিংটাও অনেকাংশে চাকুরীর মতোই। এখানে আয়ের কথা তুলছিনা। আমি বারবার বলছি পেশাগত স্বাধীনতার কথা। আপনি যখন একটা প্রজেক্ট নেন তখন ওই প্রজেক্ট চলাকালীন সময়ে ক্লায়েন্ট হলো আপনার বস। আর তাঁর সময়মতো তাঁর সাথে চ্যাটিং করা, কথা শুনা এবং আরও অনেক কিছু করতে হয় চাকুরীর মতোই। ধরুন আপনি সন্ধ্যায় বেড়াতে যাবেন পরিবারসহ। কিন্তু আপনার হাতে এখন ৫০০ ডলারের একটা প্রজেক্ট রয়েছে। সন্ধ্যায় আপনার সাথে ক্লায়েন্টের চ্যাটিং করতে হবে স্কাইপে। কাজ কর্মের অগ্রগতি দেখাতে হবে। আপনি কি শান্তিমতো এই অবস্থায় যেতে পারবেন বেড়াতে? অন্যদিকে ব্লগিং এর কথায় আসি। আপনার ব্লগটি প্রতিষ্ঠিত, হাজার হাজার দৈনিক ভিজিটরস আসে। সপ্তাহে সর্বনিম্ন দু থেকে চারটা আর্টিকেল লিখলেও চলে। বেশী লিখলে তো কথাই নেই। ব্লগে ভিজিটর আসছে যাচ্ছে, পড়ছে, অ্যাডে ক্লিক করছে, অ্যাকাউন্টে ডলার জমা হচ্ছে। সবই হচ্ছে অটোমেটিক। আপনি দিব্যি ঘুরছেন, ফিরছেন, খাচ্ছেন, ঘুমাচ্ছেন। পেশাগত টানে যখন সময় পাচ্ছেন তখন আর্টিকেল লেখা, ব্লগের আনুশাঙ্গিক কাজকর্ম, এসইও ইত্যাদি কাজ করছেন। আসলেই যে ব্লগিং করে অ্যাডসেন্স বা অন্য উপায়ে হাজার হাজার ডলার মাসে আয় সম্ভব সেটা আপনি দয়া করে গুগল সার্চ করে সফলদের জীবনী পড়ে নিবেন। আর এসব বিবেচনায় কেন জানি আমার মতে ফ্রিল্যান্সিং বনাম ব্লগিং বিবেচনায় পেশাগত স্বাধীনতার দিক থেকে ব্লগিং টাই এগিয়ে। দুটোই স্বাধীন পেশা। কিন্তু ব্লগিং কে ফ্রিল্যান্সিং অপেক্ষা বেশী স্বাধীন পেশা মনে হয় আমার। ফ্রিল্যান্সিং -এও কিন্তু ব্লগিং ক্যাটাগরি আছে। কিন্ত সেখানেও কিন্তু চাকুরীর মতো। আবার ওই ব্লগিং টাকেই যখন নিজে নিজে করবেন, নিজের ব্লগের জন্য লিখবেন। তখন আপনিই বস। আপনাকে কি ব্লগিং পেশায় কারো কাছে জবাবদিহী করতে হয়? মনে হয় না। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং -এ কিছুটা হলেও করতে হয় ক্লায়েন্টের কাছে। তবে আমার এই বিচার বিশ্লেষণে অবশ্য কিছুটা শর্ত প্রযোজ্য বা কিছু অনুমিত শর্ত আছে। যেমনঃ ব্লগিং ক্ষেত্রে আমি যে উদাহরনটা দিলাম, সেরকম অবস্থাটা প্রতিষ্ঠিত ব্লগারদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এজন্য প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পিছনে অনেক শ্রম দিতে হয়। তবে যাই বলেন সেখানেও স্বাধীনতা রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিংই বলুন আর ব্লগিং এর কথাই বলুন, দুটোর আয়ের কথা বিবেচনা করলে দুটোর আয় কিন্তু প্রায়ই সমান। তবে সমান আয়ের জন্য অবশ্যই যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। সেটা প্রযোজ্য ব্লগিং এবং ফ্রিল্যান্সিং উভয় ক্ষেত্রেই। হাজার হাজার ডলার ব্লগিং থেকে আয় কিন্তু শুধুমাত্র ইংরেজী মানসম্মত ব্লগ থেকেই সম্ভব। বাংলা ব্লগিং জগত সীমিত তাই এটার আয়ের জগতটাও সীমিত।
পেশাগত স্বাধীনতা বিবেচনায় এগিয়ে "ব্লগিং"


ব্লগিং এবং ফ্রিল্যান্সিং দুটোই সমান পেশা। মাথায় আসল তাই পেশাগত স্বাধীনতার দিকটা একটু আলোচনা করলাম আর কি! তবে মতামতগুলো সম্পূর্ণ নিজের। তাই কেউ অন্যভাবে নিবেন না। আপনার মতামতও অবশ্যই জানাবেন। ধন্যবাদ