Real inome by Online

Saturday, November 14, 2015

সফলতা পেতে ফ্রিল্যান্সিং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা

কয়েকদিন আগেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্লগে প্রবেশ করি ফ্রিলান্সিং বিষয়ক একটি লেখা দিয়ে। সেখানে ফ্রিল্যান্সারের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ৫টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। কিন্তু এটা বলা হয়নি যে, কি কি চ্যালেঞ্জ তাকে মোকাবেলাবেলা করতে হতে পারে। কেউ নতুন কোন অর্থনৈতিকউদ্যোগ নিলেই তার প্রথম ও প্রধান বিষয়ের মধ্যে থকে-ইনভেস্ট, শ্রম ও আয়ের পরিমান বিশ্লেষণ।ভবিষ্যতে সফলতা পেতে এই বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ন।
success-photo1
আর এটাই অনেককে ফ্রিলান্সার হতে বাধা দেয়। চাকরীর বেপারটা এমন হয় যে, নিয়মিত এতটা থেকে এতটা আফিস করতে হবে। সপ্তাহে এত দিন বছরে এত দিন করে ছুটি পাবেন এবং এই এই আর্থিক সুবিধা পাবেন। কিন্তু একজন ফ্রিলান্সারকে কে কেউ এই বিষয়গুলোর নিশ্চয়তা দেবে না।
কিন্তু নিজের পরিশ্রম আর মেধা খাটিয়ে কাজ করতে পারলে আপানার স্বাধীন জীবনের বাধা বলতে কিছু থাকবে না। আর এই সব নিয়েই আজকের কথাবার্তা।

১. সুনির্দিষ্ট বেতন পাওয়ার সময়

মাস শেষে যারা সুনির্দিষ্ট পরিমান বেতন পেয়ে অভ্যস্ত হয়ে যায় তাদের যদি ফ্রীল্যান্সের দিকে আসতে বলেন তাহলে তারা নিশ্চয়তাটাকে অনেক বড় বলে মনে করবে। জীবনে যারা চ্যালেঞ্জ নিতে জানে না তারা এই দিকে ছুটে আসতে গেলে প্রথম বাধাটা হয় কবে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা পাবো। আরেকটা বেপার হলো-প্রত্যেকেরই মাসিক একটা খরচের তালিকা আছে যেটা প্রতি মাসে পাওয়াটাই জরুরী। আর এটা না হলে চলেই না।

২. কাজের সময় অসময়ের মাঝামাঝি কোন সময়

আজ একবারে ভোর সকালে উঠেই কাজে লেগে গেলাম। বর্তমানে আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ করছি। প্রতিটি আর্টিকেল প্রায় ১.৫ ডলার করে। সেই সাথে অফিসের বেপারটাও মাথায় রাখতে হয়। অফিস সকাল ১০ টা থেকে সন্ধা ৬ টা পর্যন্ত। তারপর আবার আমার নিজের মতো করে নেওয়া। সত্যিকারার্থে নিজে একজন শুধুই ফ্রীল্যান্সার হলে কাজের সময় ও অসময়ের মাঝে কোন দাগ কাটা যাবে না। অনেক সময় ধরে সামাজিক নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে হবে। এক দেশের দিন..আরেক দেশের রাত তাই অনেক সময় ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ রাখতে অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকতে হতে পারে। ব্লগারদের অনককেই দেখি অনেক রাতে কাজ করছে। বন্ধুদের আড্ডার আমন্ত্রনের ঝামেলা এড়াতে অনেকে লুকিয়েও থাকেন।

৩. মার্কেটিং

অফিসে কাজ করে আমার একটা বেপার অভ্যাসে পরিনত হয়েছিল যে, আমার কাজের সীমার বাইরে কোন কাজ করবো না। কিন্তু আপনাকে নিজেকে অনেক কাজই করতে হবে। প্রয়োজনে নিজের ঢোল নিজেকেই পেটাতে হবে। কিছু দিন আগেও আমি অনেকটা বর্ণচোরা ছিলাম। লোকজনের সাথে কথা বলা কাজ করার বেপারে নিজের মধ্যে জরতার অভাব নেই্আমার মধ্যে। কিন্তু এ বেপারটা থেকে সরে আসার চেস্টা চলছে। নিজেকে প্রকাশ না করলে এ ব্যবসায় উন্নতি করতে বেশি সময় লেগে যাবে।

৪. অগ্রহনযোগ্য প্রস্তাব

অনেক ধরনের প্রস্তাবই আপনার কাছে আসতে পারে। আপনি যেহেতু একজন ফ্রীল্যান্সার তাই আপনার কাজের পরিধিটা হয়তো সবাই নাও জানতে পারে তারা আপনাকে বিভিন্ন ধরেনর কাজের মজুরী নিধ্যারণ করতে পারে- যা আপনার কারা সম্ভব হলো না-অথচ এই কাজের জন্য আপনি অন্য কোন কাজ হাতে নেন নি। এরকম ঝামেলার বেপার থাকতেই পারে।

৫. এলোমেলো অনুরোধ ও কর্মসূচি

প্রত্যেক ফ্রীলান্সারেরই কোন না কোন তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হতে হয়। কাজ করতে গিয়ে দেখেছি- ক্লাইন্ট এমন কিছু চায় যা করলে বিষয়টি একবারে অসুন্দর হবে। আবার এমন কিছু চাইবে যা একবারে অসম্ভব। যদি কেউ চায় যে, তার সাইট খুবই দ্রুত লোড হবে এবং সাইটের প্রথম পাতায় কয়েকশত ছবি থাকবে তাহলে কি সেই অনুরোধ রক্ষা করা সম্ভব?
কয়েকদিন আগে এমনই এক তিক্ত অভিজ্ঞতার সাথে পরিচয় হলো আমার। এক বন্ধুর পরিচিত আমাকে জানালো তার সাইট একটি ওয়েবসাইট দরকার। তাকে ডোমেইন হোস্টিং আলাদাভাবে কিনে দেওয়ার পর সে আবার মত বদলালো, সাইট বানাবে না। সে বললো- হোস্টিং বিক্রি করে তাকে টাকা ফেরত দিয়ে দিতে। আমি যেখানে হোস্টিং ব্যবসার সাথে জরিত সেখানে তার হোস্টিং আমি বিক্রিকরে দেওয়ার দায় নেব কেন?
অনেক সময় কোন ক্লাইন্ট সাইটের ডিজাইন এমন রঙচঙে ভরে দিতে বলে যা দেখলে যে কেউ ডিজাইনারের সমালোচনা করবে।
কেউ কেই এমন বাজেট দেয় যা আমর মূল্যের ১০ ভাগের ১ ভাগের চেয়েও কম হয়। এ জাতীয় সকল সমস্যা একজন উন্নয়নশীল অবস্থার ফ্রীল্যান্সারের সুন্দরভাবে মোকাবেল করতে হবে।

তারপর ও ভালবাসি

এত ঝামেলার পরেও এটাকেই নিজের আসল পেশা হিসেবে বেছে নিতে চাই। আমার একটি ইংরেজী লেখায় চাকরী করার কুফল বর্ণনা করেছিলাম। আরেকটা প্রকাশনায় দেখিয়েছি চাকরী জীবনের কষ্টগুলো। সেই কারনেই নিজে স্বাধীন হতে চাই।

1 comment: